গুয়াহাটিতে মূল লড়াই দুই নারীর

বিহুর ছন্দে এবার গুয়াহাটির লতা শিল বিহু উৎসবে নাচতেও ভোলেননি বিজেপি প্রার্থী কুইন ওঝা এবং কংগ্রেসের ববিতা শর্মা। ছবি: সংগৃহীত
বিহুর ছন্দে এবার গুয়াহাটির লতা শিল বিহু উৎসবে নাচতেও ভোলেননি বিজেপি প্রার্থী কুইন ওঝা এবং কংগ্রেসের ববিতা শর্মা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে গুয়াহাটি আসনে মূল লড়াই হচ্ছে দুই নারীর মধ্যে। কাল মঙ্গলবার উত্তর–পূর্ব ভারতের শেষ দফার ভোটে সবার নজর আসামের রাজধানী গুয়াহাটির এই আসনের দিকে। ১৪ এপ্রিল দুই নারীকেই দেখা গিয়েছে বিহুর ছন্দে কোমর দোলাতে। এখন একে অন্যকে ‘নাচিয়ে’ ছাড়ছেন। গুয়াহাটি আসনে বিজেপির প্রার্থী কুইন ওঝা। আর কংগ্রেসের ববিতা শর্মা।

সংখ্যাতত্ত্ব বলছে, ২০১৪ সালে বিজেপির বিজয়া চক্রবর্তী গুয়াহাটি লোকসভা আসন থেকে তিন লাখেরও বেশি ভোটে জয়ী হন। আবার পুরোনো রেকর্ডই জানাচ্ছে, ওই আসনে তার আগে ব্যাপক ভোট–পার্থক্যে কংগ্রেস প্রার্থীও জিতেছিলেন। তাই এবার দুই শিবিরই আশাবাদী।

শুধু গুয়াহাটিই নয়, আসামের চারটি ও ত্রিপুরার একটি আসনে এখন টান টান উত্তেজনা। এই দুই নারীসহ মোট ৬৪ জন প্রার্থী রয়েছেন তৃতীয় দফার ভোটে। এর মধ্যে গুয়াহাটিতে রয়েছেন ১৭ জন প্রার্থী। তৃতীয় দফার ভোটের আগে নেওয়া হয়েছে অভূতপূর্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা। আসামে মোতায়েন করা হয়েছে ২০০ কোম্পানি আধা সেনা। ত্রিপুরায় ভোটের কাজে নিযুক্ত নয় হাজারেরও বেশি অতিরিক্ত আধা সেনা। পুলিশি বন্দোবস্ত দেখতে আসামে তিনজন এবং ত্রিপুরায় চারজন পুলিশ পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করা হয়েছে।

আসামের গুয়াহাটি, ধুবড়ি, বরপেটা ও কোকরাঝাড় এবং ত্রিপুরার পূর্ব ত্রিপুরা উপজাতি সংরক্ষিত আসনে ভোট হবে। পূর্ব ত্রিপুরায় ভোটে লড়ছেন কংগ্রেস প্রার্থী মহারাজকুমারী প্রজ্ঞা দেববর্মণ। সেখানে বিজেপি প্রার্থী করেছে শিক্ষক রেবতীমোহন ত্রিপুরাকে। আর সিপিএম এবার রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী বর্তমান লোকসভা সদস্য জিতেন চৌধুরীকে প্রার্থী করেছে। সরব ভোট প্রচার শেষ। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

তৃতীয় দফার ভোটে ক্যাব (নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল) এবং জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) বিশেষ নির্বাচনী ইস্যু হয়ে উঠেছে। তৃতীয় দফার ভোটের আগে উত্তর–পূর্ব ভারতে ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৫৫ হাজার ৯৭০ রুপি ‘কালা ধন’ উদ্ধার হয়েছে। বেআইনি মদ উদ্ধারের পরিমাণ ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৬২০ লিটার। এবারের ভোটে এই অঞ্চল থেকে মোট অর্থ উদ্ধারের পরিমাণ ১২ কোটি ৮৪ লাখ ৪০ হাজার ৪ রুপি।

নির্বাচন কমিশনের তরফে নির্ভয়ে ভোটদানের জন্য ভোটারদের উদ্দেশে আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ ১৮ এপ্রিল থেকে পিছিয়ে ২৩ এপ্রিল করা হয়। প্রথম দুই দফার ভোটে বড় ধরনের অশান্তির কোনো খবর নেই। পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে কংগ্রেস ও সিপিএম ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করলেও অন্যত্র ভোট হয়েছে উৎসবের পরিবেশে। কংগ্রেস ও বিজেপি দুই দলই এবার ভালো ফল করার বিষয়ে আশাবাদী।