বেসবল খেলোয়াড়দেরও ছাড়লেন না ট্রাম্প!

কিউবান বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় আরল্ডিস চ্যাপম্যান। ছবি: রয়টার্স
কিউবান বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় আরল্ডিস চ্যাপম্যান। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের বেসবল দল নিউইয়র্ক ইয়াঙ্কেসের হয়ে খেলেন আরল্ডিস চ্যাপম্যান। ২০১০ সালে সান ডিয়েগো পাদ্রেস দলের বিপক্ষে ঘণ্টায় ১৬৯ কিলোমিটার গতিতে বল ছুড়ে রেকর্ড করেছিলেন কিউবান বংশোদ্ভূত এই খেলোয়াড়। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ বেসবলের ইতিহাসে (এমএলবি) এর চেয়ে বেশি গতিতে কেউ কখনো বল করেননি। সমর্থকেরা তাই ভালোবেসে চ্যাপম্যানকে ডাকেন ‘কিউবান মিসাইল’।

শুধু চ্যাপম্যান নয়, তাঁর মতো আরও অনেক কিউবান খেলোয়াড় যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় মেজর লিগ বেসবলে খেলে থাকেন। গত বছরের ডিসেম্বরে মেজর লিগ বেসবল ও কিউবার বেসবল ফেডারেশনের মধ্যে হওয়া চুক্তির পর কিউবার খেলোয়াড়দের যুক্তরাষ্ট্রে খেলতে আসার পথ আরও সুগম হয়েছিল। নতুন চুক্তির আওতায় প্রতিভাবান কিউবান খেলোয়াড়দের যুক্তরাষ্ট্রে আসার সম্ভাবনা যেমন বেড়েছিল, তেমনি কিউবাও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে শুরু করেছিল। নতুন সেই চুক্তি অনুযায়ী, কিউবার খেলোয়াড় যে দলে খেলবেন, সেই দল থেকে চুক্তির ১৫%-২০% অর্থ পাওয়ার কথা ছিল কিউবার বেসবল ফেডারেশনের। এ ছাড়া নতুন ক্লাবে যোগ দেওয়ার জন্য জেট বিমান ব্যবহারের সুবিধাও পেতেন খেলোয়াড়েরা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে খেললেও খেলোয়াড়েরা আয়কর দেবেন কিউবার সরকারকেই, এমন কথাও লেখা ছিল চুক্তিতে।

তবে চার মাস পার হওয়ার আগেই এই চুক্তি বাতিল করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৮ এপ্রিল চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। চুক্তি বাতিল করার পেছনে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তি দেখিয়েছে, এই চুক্তি ‘মানব পাচার’কে আরও উৎসাহিত করবে। আয়কর হিসেবে প্রাপ্ত অর্থ কিউবার ‘স্বৈরাচারী সরকার’ আত্মসাৎ করবে, এমন আশঙ্কা থেকেও চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে জানান মার্কিন সরকারের এক মুখপাত্র।

ট্রাম্পের পূর্বসূরি বারাক ওবামা কিউবা সরকারের সঙ্গে যে সুসম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন, ট্রাম্প যে সেটি বজায় রাখতে ইচ্ছুক নন, এই চুক্তি বাতিলের মাধ্যমে সেটিই যেন বুঝিয়ে দিলেন তিনি। আমেরিকানদের জন্য কিউবায় ভ্রমণের ওপরেও কঠিন বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন তিনি। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্কে নতুন কী প্রভাব ফেলে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।