তিন দিন পর শ্রীলঙ্কায় হামলার দায় স্বীকার করল আইএস

বোমা হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে শ্রীলঙ্কার একটি গির্জা। নেগোম্বো, শ্রীলঙ্কা, ২১ এপ্রিল। ছবি: রয়টার্স
বোমা হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে শ্রীলঙ্কার একটি গির্জা। নেগোম্বো, শ্রীলঙ্কা, ২১ এপ্রিল। ছবি: রয়টার্স

শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। আজ মঙ্গলবার আইএসের মুখপাত্র আমাক থেকে হামলার দায় স্বীকার করা হয়। তবে এই দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি আইএস।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে আইএসের হামলার দায় স্বীকারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছিল, শ্রীলঙ্কায় হামলার ধরনের সঙ্গে আইএসের হামলার ধরনের মিল রয়েছে।

মঙ্গলবার সকালেই পার্লামেন্টে দেশটির প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান বিজেবর্ধনে দাবি করেছেন, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে গুলি চালানোর ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় একের পর এক বোমা হামলা চালানো হয়। শ্রীলঙ্কান দুটি ইসলামিক গ্রুপ এই হামলার সঙ্গে যুক্ত বলেও জানিয়েছেন তিনি।

হামলার ঘটনার আগে একটি গোয়েন্দা সংস্থার স্মারকে বলা হয়, সন্ত্রাসী দলের একজন সদস্য তাঁর সামাজিক যোগাযোগের অ্যাকাউন্টে চরমপন্থী বিষয়ক বিভিন্ন লেখা পোস্ট করতে শুরু করেছিলেন।
সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এ ধরনের গভীর ও জটিল হামলা চালাতে যে সরঞ্জাম লাগে, এর প্রস্তুতিতে কয়েক মাস সময় দরকার। এর মধ্যে আত্মঘাতী সদস্য জোগাড় করা ও বিস্ফোরকদ্রব্য পরীক্ষার মতো বিষয়ও রয়েছে।

গত রোববার ইস্টার সানডেতে প্রার্থনারত অবস্থায় তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে একের পর এক বোমা হামলা চালানো হয়। এরপর আরও দুই জায়গায় হামলা হয়। এই হামলায় ৩২১ জন নিহত ও ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৮ জন বিদেশি।