হাশিম সম্পর্কে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল

জাহরান হাশিম
জাহরান হাশিম

বেশ কয়েক বছর ধরে শ্রীলঙ্কার মুসলিম সম্প্রদায় তাদের এক নেতা সম্পর্কে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিল। এখন ধারণা করা হচ্ছে, সেই জাহরান হাশিম গত রোববারের হামলার ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছেন।

হামলার পর গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) দায়ও স্বীকার করে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে একজনের মুখ খোলা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হাশিম।

ভিডিওতে দেখা যায়, দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন হাশিম। তাঁরা আইএসপ্রধান আবু বকর আল বাগদাদির অনুসারী। শ্রীলঙ্কার সরকারও ইতিমধ্যে তাঁকে হাশিম হিসেবেই অভিহিত করেছে। তবে তারা এই কথা সরাসরি বলেনি।

ধারণা করা হচ্ছে, এই হাশিম দেশটির উগ্রপন্থী ইসলামি গোষ্ঠী ন্যাশনাল তৌহিদ জামায়াতের (এনটিজে) নেতা। তিনি এই হামলার প্রধান সন্দেহভাজন। এর আগে পুলিশ তাঁর নাম ভুলে হাশমি বলেছিল।

হামলার আগে শ্রীলঙ্কাতেও হাশিম প্রায় অচেনা ব্যক্তি ছিলেন। হামলার পর তিনি সামনে চলে আসেন। তবে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর হাজার হাজার অনুসারী আছে। এই মাধ্যমগুলোতে তিনি ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য প্রকাশ করতেন।

শ্রীলঙ্কার মুসলিম কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিলমি আহমেদ বলেন, হাশিম সম্পর্কে তিন বছর আগে স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন তিনি। হাশিম ছিলেন বেশ একাকী একজন মানুষ। কোরআন শিক্ষার নাম করে তিনি উল্টো তরুণদের প্রতিক্রিয়াশীল করে তুলছিলেন। তিনি বলেন, তবে কারও ধারণা ছিল না এ ধরনের হামলা হাশিম চালাতে পারেন।

হিলমি আহমেদ বলেন, হাশিম সেখানে মোহাম্মদ জাহরান এবং মৌলভি হাশিম নামেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর বয়স প্রায় ৪০ বছর। তিনি বাত্তিকোলার বাসিন্দা।

হিলমি আহমেদ বলেন, মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হাশিম। একসময় পড়াশোনা ছেড়েছিলেন তিনি। কাত্তানকুদির একটি ইসলামি কলেজে পড়তেন তিনি।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হাশিম ২০১৪ সালে কাত্তানকুদিতে এনটিজে প্রতিষ্ঠা করেন।