উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার 'গ্যারান্টি' চায়: পুতিন

পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ‘গ্যারান্টি’ চায় বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স
পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ‘গ্যারান্টি’ চায় বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স

পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ‘গ্যারান্টি’ চায় বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভ্লাদিভস্তকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে বৃহস্পতিবারের বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন পুতিন। তিনি আরও বলেছেন, এ ধরনের গ্যারান্টি একটি বহুজাতিক কাঠামোর মধ্যে থেকে দেওয়া উচিত।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, পুতিনের সঙ্গে হওয়া ওই বৈঠককে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ একান্ত আলোচনা’ বলে অভিহিত করেছেন কিম। অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতাকেও ‘বেশ খোলামেলা’ প্রকৃতির বলে উল্লেখ করেছেন পুতিন। তিনি বলেছেন, আলোচনার জন্য নির্ধারিত সব বিষয়ে কিম মুক্তভাবেই মতামত দিয়েছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে কিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একই ধরনের একটি বৈঠক হয়েছিল। তবে সে আলোচনা বেশি দূর এগোতে পারেনি। ওই সময় পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধের বিপরীতে কিমের দাবি ছিল উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে সব অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ওই চুক্তিতে যেতে না চাওয়ায় মধ্যপথে থেমে যায় কিম ও ট্রাম্পের বৈঠক। ভেস্তে যাওয়া ওই আলোচনার পরে পুতিনের সঙ্গে কিমের এ বৈঠকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। ট্রাম্পের ওই আলোচনার মতো কিমের সঙ্গে পুতিনের এই বৈঠকেও অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি।

বৃহস্পতিবারের বৈঠক শেষে পুতিন বলেছেন, তিনিও চান উত্তর কোরিয়া সম্পূর্ণভাবে পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়াক। তবে এটি শুধু আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান দেখানোর মাধ্যমে সম্ভব। এ সময় পুতিন আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষমতা ফের ফিরিয়ে আনতে হবে। যেন বিশ্বের সব বিষয় কোনো শক্তিশালী দেশের কথাতে না হয়ে আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনা ভেস্তে যাওয়া পরে পুতিনের সঙ্গে কিমের এই বৈঠককে উত্তর কোরিয়ার জন্য বিশেষ সুযোগ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বৈঠকের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া দেখাতে পারবে যে তাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ এককভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল নয়। সেই সঙ্গে রাশিয়াকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার জন্যও চাপ দিতে পারেন কিম। অন্যদিকে বৈঠকটি রাশিয়া জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্য দিয়ে তারা দেখাতে পারবে যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি কোরিয়া উপদ্বীপে রাশিয়াও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।