চরমপন্থী মতবাদ অবশ্যই পরাজিত হবে: প্রিন্স উইলিয়াম

কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের সঙ্গে আল নুর মসজিদ পরিদর্শন করেন উইলিয়াম। ছবি: রয়টার্স
কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের সঙ্গে আল নুর মসজিদ পরিদর্শন করেন উইলিয়াম। ছবি: রয়টার্স

সব ধরনের চরমপন্থী মতবাদ অবশ্যই পরাজিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়াম। আজ শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে গিয়ে সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রিন্স উইলিয়াম। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের আল নুরসহ দুটি মসজিদে জুমার নামাজ চলাকালে গুলি ছোড়ে ৫০ জনকে হত্যা করা হয়। আল নুর মসজিদে নিহত হন ৪৩ জন। ওই ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানাতে ও হামলা থেকে রক্ষা পাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলতে রানি এলিজাবেথের পক্ষে দুই দিনের সফরে এখন নিউজিল্যান্ডে আছেন প্রিন্স উইলিয়াম।

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের সঙ্গে আল নুর মসজিদ পরিদর্শন করেন উইলিয়াম। তাঁকে স্বাগত জানান মসজিদের ইমাম জামেল ফৌদা। পরে সেখানে উপস্থিত মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বক্তব্য দেন উইলিয়াম। তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের চরমপন্থী মতবাদ অবশ্যই পরাজিত হবে। এখানে যা ঘটেছিল, তার মদদ দিয়েছিল চরমপন্থী মতাদর্শ।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথমে অকল্যান্ডে পৌঁছান প্রিন্স উইলিয়াম। সেখানে তিনি নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিশেষ দিবস ‘আনজাক ডে’ পালন করেন। এরপর অকল্যান্ডের স্টারশিপ চিলড্রেন হাসপাতালে পাঁচ বছরের শিশু অ্যালেন আলসাতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান ডিউক অব কেমব্রিজ। এই সপ্তাহে কোমা থেকে জেগেছে অ্যালেন। ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সে আহত হয়েছিল। ওই ঘটনায় অ্যালেনের বাবাও আহত হন।

অ্যালেন উইলিয়ামের কাছে জানতে চায়, তাঁর কোনো মেয়ে আছে কি না। জবাবে উইলিয়াম বলেন, ‘হ্যাঁ তার নাম শার্লট। সে তোমারই বয়সী।’ সে সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন উইলিয়াম।

এরপর ক্রাইস্টচার্চে যান উইলিয়াম। ১৫ মার্চ হামলার পরপরই যাঁরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এত বড় ঘটনা দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান।