ঘূর্ণিঝড় ফণী: ৮ লাখ বাসিন্দা সরিয়েছে ভারত

ফণীর প্রভাবে মেঘাচ্ছন্ন ভারতের বিশাখাপট্টনমের আকাশ। ছবি: রয়টার্স
ফণীর প্রভাবে মেঘাচ্ছন্ন ভারতের বিশাখাপট্টনমের আকাশ। ছবি: রয়টার্স

ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে ভারতের উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রায় আট লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানার পর উপদ্রুত এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, আগামীকাল শুক্রবার বিকেলের দিকে ভারতের পুরিতে আঘাত হানতে পারে ‘ফণী’। ভারত সরকারের ত্রাণ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওডিশার ১৩টি জেলার প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার অধিবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরও মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রায় ১০ লাখ মানুষের জন্য এক হাজারেরও বেশি সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ এক সপ্তাহ আগে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। নাম হয় ফণী। ১৯৭৬ সালের পর এপ্রিল মাসে ভারতীয় মহাসাগরীয় অঞ্চলে এত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়নি ভারত।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার ভারতের ওডিশা রাজ্য উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ফণী বর্তমানে তামিলনাড়ুর বিশাখাপট্টনমের পূর্ব উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার এবং পুরী থেকে ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

গত তিন দশকে ভারতের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানা চতুর্থ ঘূর্ণিঝড় হলো ফণী। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ওডিশার পাশাপাশি অন্ধ্র প্রদেশ ও তামিলনাড়ু রাজ্যেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড় তিতলির কারণে ভারতের ওডিশায় তিন লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।