পশ্চিমবঙ্গে বিভাজনের রাজনীতি চলে না: মমতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়টার্স ফাইল ছবি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়টার্স ফাইল ছবি

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগে নিজেকে বলতেন চা-ওয়ালা। এখন বলেন চৌকিদার। সেই চা-ওয়ালার আজ আর চায়ের কেটলি নেই, আছে জেটলি। অরুণ জেটলি হলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভাটপাড়ায় এক নির্বাচনী জনসভায় মমতা এসব কথা বলেন। ভাটপাড়া লোকসভার বারাকপুর আসনের অন্তর্গত।

মমতা বলেন, ‘এই বাংলায় হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে ঝগড়া হয় না। আর এই বাংলায়ও বিভাজনের রাজনীতি চলে না। এখানে সবাই ভাই ভাই। কিন্তু আরএসএসের গুন্ডারা এসে অশান্তি বাধিয়েছেন। এই দাঙ্গাবাজদের আমি আর ছাড়ব না। এই বাংলায় আরএসএসের গুন্ডাবাজি চলবে না। গাদ্দারি চলবে না। আর মিথ্যে প্রচারও চলবে না।’ মোদি বলেছেন, ৪০ জন তৃণমূল বিধায়ক তাঁর দলে যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। এই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেছেন, ‘কারা যোগাযোগ করেছেন, পারলে নামগুলো বলুক। ওরা তো টাকা ছড়িয়ে বিধায়ক কিনছেন।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ‘কী করেছেন ৫ বছরে। এবার কৈফিয়ত দিন। বাংলার মানুষ আর এবার ছাড়বে না। বাংলার মানুষ আপনাদের বিদায় করে দেবে।’

তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরা ও বিধায়ক অর্জুন সিংহ সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের উদ্দেশেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কয়েকটি গাদ্দার কিনে এবার চমক দেখাচ্ছেন। ওই গাদ্দারদের আমরা টিকিট দেইনি । এমন দু-একটা গাদ্দার সব জায়গায় থাকে। আমরা টিকিট দেইনি বলে ওরা কিনে নিয়েছে। ওই গাদ্দারদের ঠাঁই হবে না এই বাংলায়।’

মমতা আরও বলেন, ‘মোদির সভায় এখন আর লোক হচ্ছে না। সভা ভরাবার জন্য বাইরে থেকে লোক আনছেন মোদি।’ তিনি বলেন, ‘দেশে আজ সবচেয়ে বড় শত্রু বিজেপি। তাই মোদি গেলে দেশ বাঁচবে। তাই তো আমি বলি, “মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও”।’

মমতা আরও বলেন, ‘বাংলার মানুষ এক হয়েছে। মোদির মুখোশ খসে পড়েছে। আর এই বাংলার মানুষ মোদিকে চায় না। তারা আর ভয় পায় না সিবিআই আর ইডি দিয়ে ধমক দেওয়ায় আর আর চমক দেওয়ায়। মোদিকে বিদায় দিতে চায়। তাইতো এবার বাংলার মানুষ ৪২টি আসনেই জিতিয়ে আনবে তৃণমূলকে। আর এই ৪২ আসন নিয়েই তৃণমূল এবার দিল্লিতে জনগণের সরকার গড়বে। সরকার গড়ার কারিগর হবে।’