ভেনেজুয়েলায় সামরিক হস্তক্ষেপের আগে কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ছবি: রয়টার্স
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ছবি: রয়টার্স

ভেনেজুয়েলায় বিরোধী রাজনৈতিক নেতা হুয়ান গুয়াইদোর সমর্থনে সামরিক হস্তক্ষেপের প্রস্তুতি চলছে। রোববার এক টিভি সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সামনে একাধিক পথ খোলা রয়েছে। কূটনৈতিক, রাজনৈতিক, মিত্রদের সঙ্গে যৌথ ব্যবস্থা ও সব শেষে মার্কিন সামরিক শক্তি ব্যবহার। প্রতিটি ব্যবস্থার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যাতে যথাসময়ে ব্যবস্থা নিতে পারেন, সে জন্য আমরা পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হস্তক্ষেপে ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন চাইবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মাইক পম্পেও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী করবেন, সে কথা তিনি (পম্পেও) বলতে পারেন না, তবে ভেনেজুয়েলায় যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণের পূর্ণ অধিকার প্রেসিডেন্টের রয়েছে। মার্কিন শাসনতন্ত্রেই তাঁকে সে অধিকার দেওয়া হয়েছে।

এদিকে একাধিক সূত্রে জানা যায়, ভেনেজুয়েলার মাদুরোর সরকারের উৎখাতের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সে দেশের সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। বিরোধী নেতা গুয়াইদো দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যদের অভ্যুত্থানের যে ডাক দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতি অনুমোদন দিয়েছিল। গত সপ্তাহেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা মাদুরোর পক্ষ ত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন। মাদুরো নিজেও ক্ষমতা ছেড়ে কিউবায় আশ্রয় নিতে প্রস্তুত, এ জন্য একটি বিশেষ বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার পরামর্শে তিনি সে সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।

কবে নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ‘এসব কাজ রাতারাতি করা সম্ভব নয়। আমরা সে দেশের নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ৯০ দিন আগেও দেশটি কোথায় ছিল, সে কথা ভেবে দেখলে ভেনেজুয়েলার জনগণ যা করেছে, তাতে গর্বিত হতে হয়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তারা এখন খুব কাছাকাছি চলে এসেছে।’

মাদুরোর পক্ষাবলম্বনের জন্য পুনরায় রাশিয়া ও কিউবাকে অভিযুক্ত করে পম্পেও বলেন, ভেনেজুয়েলায় এই দুই দেশের সামরিক সদস্যরা কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রুশদের সে দেশ (ভেনেজুয়েলা) ত্যাগের আহ্বান জানিয়ে টুইট করেছেন। তিনি কিউবান ও ইরানিদের সে দেশ ত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। আমরা চাই তাঁরা সবাই সরে যাক, তাহলে ভেনেজুয়েলার জনগণ নিজেরাই তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।’