ইরানের আলটিমেটাম প্রত্যাখ্যান করল ইউরোপ

পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসা সম্পর্কিত ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির দুই মাসের বেঁধে দেওয়া সময়ের (আলটিমেটাম) বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে যুক্ত জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইইউর পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিশনার যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরনের আলটিমেটাম তাঁরা প্রত্যাখ্যান করছেন।

২০১৫ সালে ছয় পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ইরান। ২০১৮ সালের ৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার এক বছর পর ইরান এই হুমকি দিল।

জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইইউ পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিশনার যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের যৌথ সংবিধিবদ্ধ পরিকল্পনা কর্মসূচির অধীনে ইরানের সঙ্গে করা চুক্তি ও এ-সংক্রান্ত বিষয়ে জবাবদিহি নিয়ে আমরা বিব্রত বোধ করছি। আমরা ইরানকে তার প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি আগের মতো বাস্তবায়ন করার এবং নতুন করে পারমাণবিক শক্তি সঞ্চয়ের আকাঙ্ক্ষা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি ইরান চুক্তিবদ্ধ বাধ্যবাধকতা থেকে সরে দাঁড়াবে না।’

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি চুক্তিবদ্ধ ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি ৬০ দিন সময় বেঁধে দিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ইউরোপীয় দেশগুলো যদি ইরানকে রক্ষা না করে, তবে চুক্তিবদ্ধ কিছু শর্ত থেকে তারা সরে দাঁড়াবে।

২০১৮ সালে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা ও নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পর জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। বিবৃতিতে ইরানকে পরমাণু চুক্তি মেনে চলার ও সর্বোচ্চ সহযোগিতার কথা বলা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মগেরিনি তখন বলেছিলেন, অনেক চেষ্টা করে পরমাণু যুদ্ধের উত্তেজনা হ্রাস করতে এই চুক্তিটি করা হয়েছে। তাই এই চুক্তি ভাঙার প্রশ্নই আসে না। ইরান চুক্তির শর্ত মেনে চললে ইইউর সহযোগিতা আরও বাড়বে।