চিকিৎসার জন্য ভারতে এসে ভাইপোর ছিনতাইয়ের শিকার
নরসিংদী থেকে চিকিৎসার জন্য ভারতে এসেছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী বলাই চন্দ্র পাল ও তাঁর স্ত্রী শিখা রানী পাল। চেন্নাইতে চিকিৎসা শেষে তাঁরা ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার নতুননগর এলাকায় ভাইপোর বাড়িতে ওঠেন।
নতুননগর এলাকায় বলাইচন্দ্র পালের চার ভাইপো থাকেন। গত রোববার বলাই চন্দ্র পাল তাঁর ভাইপো চন্দন পালের বাড়িতে ছিলেন। সেখান থেকে আরেক ভাইপো মদন পাল তাঁকে তাঁর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছাতেই মদন বলাই চন্দ্রের ওপর চড়াও হন।
বলাইয়ের অভিযোগ, মদন দা দিয়ে তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করেন। তাঁর কাছে থাকা ৭০০ মার্কিন ডলার কেড়ে নেন। সঙ্গের চার ভরিরও বেশি ওজনের গয়নাও ছিনিয়ে নেন।
বলাইয়ের স্ত্রী শিখা রানী অভিযোগ করে বলেন, তাঁদের চিৎকার শুনে তিনি পালিয়ে আসেন। মদনের হাতে তিনি ধারালো অস্ত্র দেখেছেন।
বলাই ও তাঁর স্ত্রী শিখা বিষয়টি ত্রিপুরা পুলিশকে জানিয়েছেন। আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনেও যোগাযোগ করেছেন।
মদনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ভাই চন্দন এই অভিযোগ স্বীকার করেছেন। চন্দন জানিয়েছেন, গ্রামবাসী এ বিষয়ে সালিস বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানেও মদন সবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। এরপরই তাঁরা বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আগরতলা সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব জাকির হোসেন ভূইয়া বলাই ও তাঁর স্ত্রীকে ভারতীয় পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
স্থানীয় বিধায়ক দিলীপ দাশ জানান, তিনি পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তাঁর মতে, ত্রিপুরা সরকার বাংলাদেশ থেকে আসা প্রত্যেক মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে চায়।