আসামে রাজ্যসভার ভোট ৭ জুন

ভারতের পার্লামেন্ট ভবন। ছবি: রয়টার্স
ভারতের পার্লামেন্ট ভবন। ছবি: রয়টার্স

ভারতের আসামে রাজ্যসভার ভোট হবে আগামী ৭ জুন। ওই দিনই প্রকাশ করা হবে ভোটের ফলাফল। ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ২৮ মে। রাজ্যসভার ভোটকে কেন্দ্র করে আসামে শাসক দল বিজেপি ও তাদের জোট শরিক অসম গণ পরিষদের (অগপ) মধ্যে ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক লড়াই।

আগামী জুনে ভারতের জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের। একই সঙ্গে কংগ্রেসের এস কুজুরেরও মেয়াদ শেষ হবে।

দুটি আসনের জন্য রাজ্যসভার ভোট হবে ৭ জুন।

ভারতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সেই দিনই দুটি আসনের ভোট হবে। ভোট দেবেন বিধায়কেরা।

১২৬ সদস্যের আসাম বিধানসভায় বিজেপির সদস্যসংখ্যা ৬১। কংগ্রেসের ২৫। বিজেপির শরিক দল অগপর ১৪ এবং বিপিএফের ১২। বিজেপিকে স্বতন্ত্র একজন বিধায়ক সমর্থন দিচ্ছেন। কংগ্রেস পেতে পারে অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) ১৩ সদস্যের সমর্থন।

তবু কংগ্রেস প্রার্থীর জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই। জিততে হলে কমপক্ষে পেতে হবে প্রথম পছন্দের ৪৩টি ভোট। আর সেটাও হবে প্রকাশ্যে। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে ভোট দিলেই থাকছে সদস্য পদ হারানোর শাস্তি। তাই জোটের হাত ধরে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনাই প্রবল।

তবে জোটের মধ্যেই আসন নিয়ে লড়াই তুঙ্গে। বিজেপি চাইছে একটি আসনে নিজেরা লড়তে। অপরটি বিহারে তাদের জোটসঙ্গী লোকজন শক্তি পার্টির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাশোয়ানকে ছাড়তে।

কিন্তু এটা মানতে নারাজ অগপ। তাদের দাবি, একটি আসনে সাবেক মন্ত্রী বীরেন বৈশ্যকে প্রার্থী করতে হবে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। দলের ভেতরেই অশান্তি শুরু হয়েছে।

এই বিরোধ থামাতে রাজ্যসভার ভোট নিয়ে অগপ ১৮ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।

বিজেপি জানিয়েছে, তারা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে, অগপকে আসন ছাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। দলের বিধায়ক শিলাদিত্য দেব মুঠোফোনে বলেন, রাজ্যসভার দুটি আসনই বিজেপির কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব হিসাব করেই সিদ্ধান্ত নেবে।