অস্ট্রেলিয়ায় ভোট গণনার শুরুতেই এগিয়ে ক্ষমতাসীন জোট

স্কট মরিসন ও বিল শর্টেন
স্কট মরিসন ও বিল শর্টেন
>
  • ৭ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন দেড় কোটি ভোটার
  • প্রি-ভোট দিয়েছেন ৪৭ লাখ ভোটার
  • ভোটার জরিপে সরকার ও বিরোধী দল ৫১-৪৯

অস্ট্রেলিয়ায় শেষ হল ৪৬তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। আজ শনিবার দেশটির সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকাল থেকেই ভোট দিতে শুরু করেন ভোটাররা। এরপর স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভোট গণনা শুরু হয়েছে। মোট ভোটের ২ শতাংশের কম গণনা শেষে দেখা গেছে, ১৯ আসনে বর্তমান জোট সরকার দল লিবারেল ও ন্যাশনাল পার্টি জয় পেয়েছে। লেবার পার্টি জয় পেয়েছে ৯ আসনে। সরকার গঠনের জন্য দরকার ৭৬টি আসন।

অস্ট্রেলিয়াজুড়ে প্রায় ৭ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। কোনো ভোট কেন্দ্রেই অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা ঘটার খবর পাওয়া যায়নি। দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকেরাও সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদান করেছেন। দেশটিতে প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক আছেন। দেশটির নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ ভোটার আছেন। এর মধ্যে প্রায় ৪৭ লাখ ভোটার নির্বাচনের আগেই প্রি-ভোট প্রদান করেছেন। সব ভোট আজ গণনা করা হবে।

সরকার গড়তে পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদের (নিম্নকক্ষ) ১৫১টি আসনের মধ্যে অন্তত ৭৬টি আসনে জয় পেতে হবে। ক্ষমতাসীন মধ্য-ডানপন্থী লিবারেল-ন্যাশনাল জোট অবশ্য বর্তমানে দুটি কম আসন নিয়ে সরকারে টিকে রয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের লিবারেল-ন্যাশনাল জোট ও বিরোধী নেতা বিল শর্টেনের মধ্য-বামপন্থী অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির (এএলপি) মূল লড়াই হবে বলে আভাস মিলেছে। তবে ভোটের আগের জনমত জরিপগুলো বলছে, বিরোধী দল লেবার পার্টিই এগিয়ে।

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন দেশটির ভিক্টোরিয়া রাজ্য। জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজ্য নির্বাচনে জোট সরকার দল লিবারেলের বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে লেবার নেতা ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুসের জয়ের পর থেকেই আসনটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ধারণা করা হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে আসনটি। এদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। আজ নির্বাচনে প্রথম ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে লেবার পার্টির এগিয়ে থাকার একটা আভাস পাওয়া গেছে। আজ ভোটার মতামত জরিপে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ৫১-৪৯ সমর্থনের কথা বলা হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, বর্তমান মরিসন সরকারের জয় বেশির ভাগটাই দলটির সৌভাগ্যের ওপর নির্ভর করছে। তবে জয়ের জন্য অনেক লড়াই করতে হবে বিরোধী দল লেবার পার্টিকে।

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হলেও দেশটির নির্বাচন কমিশনের নিকট লিবারেলের বিরুদ্ধে ভোটার আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেছে লেবার পার্টি। বিরোধী দল জানায়, দেশটির বৃহৎ চীনা বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান ভোটারদের ব্যবহার করছে লিবারেল। ভোটকেন্দ্রের সামনে চীনা ভাষায় লিবারেলে ভোট দেওয়ার প্রচারণা করে দলটি। চীনা কমিউনিটিকে প্রতিনিধিত্ব করে এমন শব্দ ও রঙের ব্যবহার করে চীনা ভোটার বেশি এলাকায় পোস্টার লাগায় দলটি। তবে লেবারের এই অভিযোগ বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন। তারা জানায়, লিবারেল নির্বাচনী প্রচারণা নীতিমালাবিরোধী কিছু করেনি।