অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন জোটের 'অবিশ্বাস্য' জয়

স্ত্রী জেনিকে নিয়ে সিডনির একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। ছবি: রয়টার্স
স্ত্রী জেনিকে নিয়ে সিডনির একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। ছবি: রয়টার্স

জনমত জরিপে বিরোধী জোটের জয় যখন প্রায় নিশ্চিত, তখন অপ্রত্যাশিতভাবে ফল ঘুরে গেল ক্ষমতাসীন জোটের দিকে। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন মধ্যডানপন্থী লিবারেল-ন্যাশনাল জোট এবারের নির্বাচনেও জয় পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এই ‘অবিশ্বাস্য’ জয়ে ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

আজ রোববার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সমর্থকদের বলেন, তিনি সবসময় অবিশ্বাস্য ঘটনায় বিশ্বাস করেন।

বিরোধী মধ্যবামপন্থী অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির (এএলপি) নেতা বিল শর্টেন পরাজয় মেনে নিয়ে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

ভোটের আগে জনমত জরিপে বলা হয়েছিল, ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো খুব কম ব্যবধানে জিততে যাচ্ছে বিরোধী দল লেবার পার্টি। ২০১৩ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টি পরাজিত হয়। ছয় বছর ধরে বিরোধী দলে থাকার পর এবার লেবার পার্টির জয়ের ব্যাপারে জোর আভাস ছিল।

৭০ শতাংশ ভোট গণনায় দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন জোট ৭৪টি আসন পেয়েছে। আর লেবার পার্টি পেয়েছে মাত্র ৬৬ আসন। সরকার গড়তে পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদের (নিম্নকক্ষ) ১৫১টি আসনের মধ্যে অন্তত ৭৬টি আসনে জয় পেতে হবে।

এবারের নির্বাচনের জন্য ১ কোটি ৬৪ লাখ ভোটার নিবন্ধিত হয়।

পরাজয় নিশ্চিত হওয়ার পর লেবার নেতা শর্টেন দলের সদস্যদের বলেছেন, ‘তাঁর দল আগামী সরকার গঠন করতে পারছে না, তা নিশ্চিত হয়ে গেছে।’ তিনি মরিসনকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাবেন বলে জানান। বলেন, লেবার নেতা হিসেবে পুনর্নির্বাচন দাবি করবেন না।