ইরানকে সতর্ক করল সৌদি আরব

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের। ছবি: রয়টার্স
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের। ছবি: রয়টার্স

সৌদি আরবের তেল পাম্পিং স্টেশনে ড্রোন হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে ‘সমস্ত শক্তি দিয়ে’ জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে সৌদি আরব। তবে দেশটি এও বলেছে, তারা এ অঞ্চলে যুদ্ধ এড়াতে চায়।

আজ রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘সৌদি আরব এ অঞ্চলে যুদ্ধ চায় না, যুদ্ধ খুঁজেও না। যা যা এই যুদ্ধ রোধ করতে পারে, আমি তা–ই করব। তবে কোনও পক্ষ যুদ্ধ বেছে নিলে সৌদি আরব সমস্ত শক্তি ও সংকল্প নিয়ে সাড়া দেবে। সৌদি আরব তাঁদের স্বার্থ রক্ষা করবে।’

ইয়েমেনে ইরান–সমর্থিত হুতি বাহিনীকে সৌদি আরবের পাম্পিং স্টেশন হামলা করতে ইরান নির্দেশ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সৌদি আরব। তবে এ হামলার নেপথ্যে থাকার কথা অস্বীকার করেছে ইরান।

এ হামলার ঘটনা এমন সময়ে ঘটল, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে—এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র রণসাজে সজ্জিত হয়েছে। ইরানকে লক্ষ্য করে লোহিত সাগরের সুয়েজ খালে অবস্থান নিয়েছে মার্কিন রণতরি। তবে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে ভুয়া বলে দাবি করেছে ইরান। এর আগে ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মিত্রদেশগুলোকে ইরান থেকে তেল না কেনার নির্দেশ দিয়েছে।

এ হামলা নিয়ে আলোচনার জন্য আজ সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান ৩০ মে মক্কায় গালফ ও আরব নেতাদের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।

হামলার ঘটনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে পরিস্থিতিকে ‘জটিল’ উল্লেখ করেছেন।

সৌদি আরবের সুন্নি মুসলিম মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত হামলার জন্য কাউকে দায়ী করেনি। এ হামলার দায়ও কেউ স্বীকার করেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দুটি সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করেন, ইরান হুতি বাহিনীকে দিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। অথবা ইরাকভিত্তিক শিয়া মিলিশিয়া এ হামলা চালিয়েছে।