আবারও মোদিকে খোঁচালেন টুইঙ্কেল খান্না

এই সেই ছবি। একটি গেরুয়া রঙের ভাস্কর্যের সামনে নিজের ধ্যান করার স্টাইলে একটি ছবি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী টুইঙ্কেল খান্না। ছবি: সংগৃহীত
এই সেই ছবি। একটি গেরুয়া রঙের ভাস্কর্যের সামনে নিজের ধ্যান করার স্টাইলে একটি ছবি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী টুইঙ্কেল খান্না। ছবি: সংগৃহীত

নানা সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাজের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন বলিউড অভিনেত্রী টুইঙ্কেল খান্না। প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েকবার। এবার যা করেছেন, সেটা একেবারেই চোখে লাগার মতো। ছবি তুলে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরিই খোঁচালেন অক্ষয় কুমারের স্ত্রী।

ভারতে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে ধ্যানে বসেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, নরেন্দ্র মোদি দুই দিনের সফরে সকালেই পৌঁছে যান উত্তরাখন্ডে। প্রায় দুই কিলোমিটার ট্র্যাক করে ওই গুহায় পৌঁছান মোদি। পাহাড়ি পথে তাঁকে ছাতা ও লাঠি নিয়ে উঠতে দেখা যায়। সংবাদমাধ্যমের অনুরোধে তিনি ধ্যানে বসার ছবি তুলতে দেন। এই ছবি গত কয়েক দিনে ঝড় তুলেছে ইন্টারনেটে।

এবার সেই ভাইরাল ছবি নিয়ে সরাসরি রসিকতা করলেন বলিউডের অভিনেত্রী টুইঙ্কেল খান্না। একটি গেরুয়া রঙের ভাস্কর্যের সামনে নিজের ধ্যান করার স্টাইলে একটি ছবি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচার সুরে লিখলেন ক্যাপশন। তিনি লিখেছেন, ‘বন্ধুরা দয়া করে সাইনআপ করুন। গত কয়েক দিন ধরে রাশি রাশি ধর্মীয় ছবি দেখার পর আমি এবার মেডিটেশন ফটোগ্রাফি-পোজ অ্যান্ড অ্যাঙ্গেলস নিয়ে কয়েকটি কর্মশালা করাচ্ছি। আমার ধারণা বিয়ের ফটোগ্রাফির পরই এটা সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে উঠতে চলেছে।’

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে টুইঙ্কেল খান্নার স্বামী অক্ষয় কুমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি অরাজনৈতিক সাক্ষাৎকার নেন। যেখানে অক্ষয় নরেন্দ্র মোদিকে বলেন, ‘আমি খেয়াল করেছি, আপনি নিয়মিত টুইটার থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া ফলো করেন।’ অক্ষয়ের এই কথা প্রসঙ্গেই মোদি হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘আমি আপনার ও আপনার স্ত্রী টুইঙ্কেলের টুইটারও ফলো করি। কখনো কখনো আমার মনে হয়, টুইঙ্কেল আমার ওপর রাগ টুইটারে উগরে দেন। এতে আমার মনে হয় আপনার ও আপনার স্ত্রী পারিবারিক জীবন অনেক শান্তির হয়। ওনার পুরো রাগ যখন উনি আমার ওপরই টুইটারে উগরে দেন, তাতে আপনি শান্তিতে থাকেন।’ পাশাপাশি মোদি জানান, তিনি নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখেন, রাজনীতির বাইরেও কী কী হচ্ছে সে দিকটা নজর রাখার জন্য।

মোদির এমন বক্তব্যেই অভিনেত্রী তথা লেখিকা টুইঙ্কেল একটি ফলোআপ টুইট নিয়ে হাজির হন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি হালকা চালে মোদিকে বিঁধে বলেন, ‘আমি বরং এই বিষয়টিকে খুব ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছি। তার মানে তিনি শুধু আমাকে অনুসরণই করেন না, আমার লেখাও পড়েন।’ টুইঙ্কলের এই টুইটের পরই জল্পনা উঠেছিল তিনি নাকি রাজনীতির ময়দানে নামছেন। মূলত গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

বলিউড ও বলিউডের বাইরে টুইঙ্কেল খান্নার একটা বিশেষ পরিচিতি আছে টুইটারে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে শক্তিশালী মন্তব্য করার জন্য। সেসব লেখা চোখ এড়ায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও।

টুইঙ্কেল খান্না ১৯৯৫ সালে ‘বারসাত’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা নবাগত নারী চরিত্রের জন্য ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের স্ত্রী এবং সাবেক অভিনেত্রী ডিম্পল কাপাডিয়া ও প্রয়াত অভিনেতা রাজেশ খান্নার মেয়ে। ২০০১ সালে চলচ্চিত্রশিল্প থেকে বিদায় নেওয়ার পর খান্না ইন্টেরিয়র ব্যবসায় মন দেন এবং বর্তমানে তিনি ‘দ্য হোয়াইট উইন্ডোজ’ নামের প্রতিষ্ঠানের অংশীদার। সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস