সন্ত্রাস চলবে, ইঙ্গিত মেঘালয়ের জঙ্গিগোষ্ঠীর

মেঘালয়ের জঙ্গি সংগঠন এইচএনএলসি। ছবি: ইনসাইডএনইর সৌজন্যে
মেঘালয়ের জঙ্গি সংগঠন এইচএনএলসি। ছবি: ইনসাইডএনইর সৌজন্যে

সরকারের শান্তি প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়ে ‘যুদ্ধ’ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিল মেঘালয়ের জঙ্গি সংগঠন হাইনিউট্রেপ ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিল (এইচএনএলসি)। তাদের সাফ কথা, সংগ্রাম চলবে।

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মেঘালয়ে দুই দশক আগে তৈরি হয় সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন এইচএনএলসি। তাদের সন্ত্রাসের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় মেঘালয়ের গারো জনগোষ্ঠী। সংগঠনটি গঠনের সময় বলা হয়, ‘গারো ও ভারতীয়দের হাত থেকে খাসিয়াদের মুক্ত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।’

মেঘালয়ে জন্মলগ্ন থেকেই নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে এইচএনএলসি। সম্প্রতি এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে খুন করায় ফের শিরোনামে এই জঙ্গি সংগঠন। এই অবস্থায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস সাংমা অস্ত্র সংবরণ করে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন।

কিন্তু নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটির তরফে সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, মেঘালয় বা ভারত সরকারের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই।

এইচএনএলসির সাধারণ সম্পাদক তথা প্রচারসচিব সাইনকপার ননগাটরো বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, সংগ্রাম চলবে।

ডিজিটাল গণমাধ্যম ইনসাইডএনইর খবর অনুযায়ী, বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারত সরকারের শান্তি আলোচনার প্রস্তাব আমাদের কাছে মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। এমনকি, রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা নিয়েও সন্দেহ আছে। তাই অস্ত্র সংবরণের প্রশ্নই নেই।’

বিবৃতিতে অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে ভারত সরকারের শান্তি আলোচনা নিয়েও বিদ্রূপ করা হয়। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটি অবশ্য স্বীকার করেছে শান্তি আলোচনাই একমাত্র বিকল্প রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের হাত থেকে রাজ্যবাসীকে রক্ষা করার। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে তাঁদের সন্দেহই প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে।

খ্রিষ্টান–অধ্যুষিত রাজ্যটির চার্চ, এনজিও ও সুশীল সমাজের তরফেও তাদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে স্বীকার করা হয় বিবৃতিতে। কিন্তু মেঘালয়ের ‘ভূমিপুত্রদের স্বার্থে’ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথাই বলা হয় বিবৃতিতে।