আমেথিতে স্মৃতির চেয়ে রাহুল পিছিয়ে

রাহুল গান্ধী ও স্মৃতি ইরানি
রাহুল গান্ধী ও স্মৃতি ইরানি

লোকসভার আমেথি আসনে বিজেপির প্রার্থী স্মৃতি ইরানির চেয়ে ভোটে পিছিয়ে পড়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

আজ বৃহস্পতিবার ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৩ আসনের ভোট গণনা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়।

উত্তর প্রদেশের আমেথি আসনের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, রাহুল গান্ধী তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্মৃতি ইরানির চেয়ে ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছেন।

স্মৃতি ইরানি এই আসনে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বেশ আগ্রাসীভাবে প্রচার চালান। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, রাহুল গান্ধী তাঁর আসনকে অবজ্ঞা করছেন।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আমেথিতে রাহুলের কাছে পরাজিত হন স্মৃতি ইরানি। তবে রাহুলের জয়ের মার্জিন কমে গিয়েছিল। ২০১৪ সালে মার্জিন কমে দাঁড়ায় ১ লাখ ৭ হাজারে।

পরে পাঁচ বছর ধরে স্মৃতি ইরানি আমেথিতে গড়ে তুলেছেন সংগঠন। বাড়িয়েছেন তাঁর জনপ্রিয়তা।

লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী উত্তর প্রদেশের আমেথি ছাড়াও এবার ভোটে লড়েছেন কেরালার ওয়েনাড থেকে। সেখানে তিনি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।

রাহুল গান্ধী ওয়েনাড থেকে প্রার্থী হওয়ার পর প্রশ্ন ওঠে, তিনি কি তাহলে আমেথিকে আর নিরাপদ ভাবছেন না? তবে কংগ্রেস তা অস্বীকার করে।

উত্তর প্রদেশের আমেথি বরাবরই কংগ্রেসের গড়। ১৯৬৭ সাল থেকে মাত্র দুবার এই কেন্দ্র কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে। প্রথমবার ১৯৭৭ সালে। জিতেছিলেন জনতা পার্টির রবীন্দ্র প্রতাপ সিং। দ্বিতীয়বার ১৯৯৮ সালের ভোটে। কংগ্রেস ছেড়ে আমেথির রাজা সঞ্জয় সিং বিজেপিতে যোগ দিয়ে তখন জেতেন। এই দুই ব্যতিক্রম ছাড়া কংগ্রেস ও আমেথি সমার্থক।

১৯৮০ সালে এখান থেকে জিতেছিলেন ইন্দিরা-তনয় সঞ্জয় গান্ধী। তাঁর মৃত্যুর পর পরপর তিনবার এই কেন্দ্র থেকে জেতেন রাজীব গান্ধী। ১৯৯১ সালে রাজীবের মৃত্যুর পর গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ সতীশ শর্মা কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। মাঝখানে ১৯৯৮ সালে নির্বাচিত হন সঞ্জয় সিং। ১৯৯৯ সালে জেতেন সোনিয়া গান্ধী। ২০০৪ সাল থেকে কেন্দ্রটি রয়েছে রাহুল গান্ধীর দখলে।