পাঁচ বছর আগে আসা আবর্জনা কানাডায় ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দুতার্তের

কানাডায় কনটেইনারভর্তি আবর্জনা ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। ছবি: রয়টার্স
কানাডায় কনটেইনারভর্তি আবর্জনা ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। ছবি: রয়টার্স

পুনরায় ব্যবহারের জন্য উপযোগী করে তুলতে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ফিলিপাইনে জাহাজে করে বিপুল পরিমাণ আবর্জনা পাঠিয়েছিল কানাডার একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেগুলো আর ফেরত নেয়নি তারা। কনটেইনারভর্তি সেই আবর্জনা এবার কানাডায় ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার প্রধানমন্ত্রী রদ্রিগো দুতার্তের মুখপাত্র সালভাদর পানেলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, এ আবর্জনা যদি কানাডা সরকারিভাবে ফিরিয়ে না নেয়, তাহলে কানাডার সমুদ্র উপকূলে তা ফেলে আসবে ফিলিপাইন!

আবর্জনাগুলো ফিরিয়ে নিতে ১৫ মে পর্যন্ত কানাডাকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ফিলিপাইন। কিন্তু সময়সীমা শেষ না হলেও আবর্জনাগুলো এখনো ফিরিয়ে নেয়নি কানাডা। সালভাদর পানেলো বলেন, সময়সীমা পার হওয়ার পরেও কানাডা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রেসিডেন্ট এমন নির্দেশ দিয়েছেন। দুতার্তে বলেছেন, ‘যদি কানাডা আবর্জনাগুলো ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে আমরা এগুলোকে তাদের কোনো সমুদ্র উপকূলের ১২ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে ফেলে আসব।’ প্রেসিডেন্টের এ নির্দেশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর করা হবে বলেও জানান সালভাদর পানেলো।

এদিকে কনটেইনারভর্তি আবর্জনাগুলো ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে কানাডা। কিন্তু কত দিনের মধ্যে ফিরিয়ে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি দেশটি।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে এর আগেও কূটনৈতিক জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। গত বছর সে দেশের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ১৬টি সামরিক হেলিকপ্টার সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, এমন অভিযোগ এনে কানাডা চুক্তি পুনরায় যাচাই করার কথা বললে এমন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন দুতার্তে। পরে গত এপ্রিলে আবর্জনা ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে দুতার্তে কানাডার বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণার’ কথাও বলেছিলেন।