মন্ত্রিত্বের দৌড় শুরু পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিতে

বিজেপি
বিজেপি

লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে অসামান্য ফল করেছে বিজেপি। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে পেয়েছে ১৮টি আসন। এর আগে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ২টি আসন। প্রার্থীসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই রাজ্যে মন্ত্রিত্বের সংখ্যা যে বাড়ছে, এর ইঙ্গিত ইতিমধ্যে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এখান থেকে ৪ জনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নেওয়ার সংকেত দিয়েছে দলটি।

অসামান্য ফল, একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাড়ানোর সংকেত—রাজ্য বিজেপিতে এখনই শুরু হয়ে গেছে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার দৌড়। জয়ী প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে শুরু করেছেন দেনদরবার।

২০১৪ সালের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপি জিতেছিল দার্জিলিং ও আসানসোলে। দার্জিলিংয়ে জিতেছিলেন সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া আর আসানসোলে জিতেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এবারও আসানসোলে জিতেছেন বাবুল সুপ্রিয়। আলুওয়ালিয়া লড়েছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর আসন থেকে, তিনি জয় পেয়েছেন।

মন্ত্রিত্বের লড়াইয়ে উঠে এসেছে চারজনের নাম। তাঁরা হলেন বাবুল সুপ্রিয়, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও জয়ন্ত রায়। জয়ন্ত রায় একজন নামকরা চিকিৎসক। এঁদের বিষয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সবুজ সংকেত দিয়েছেন। তবে কোনো কোনো সংবাদপত্রে উঠে এসেছে নারী প্রার্থী হিসেবে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম।

অবশ্য বিজেপির সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী, একই ব্যক্তি দুটি শীর্ষপদে থাকতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষ মন্ত্রী হলে তাঁকে ছাড়তে হতে পারে রাজ্য সভাপতির পদ। আর যদি তিনি রাজ্য সভাপতির পদে থাকেন, সে ক্ষেত্রে অন্য কাউকে মন্ত্রী করা হতে পারে। তবে ত্রিপুরায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব একাধারে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির জয়

এবার লোকসভার নির্বাচনের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার ৮টি শূন্য আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনের ফলাফলও গতকাল বৃহস্পতিবার ঘোষিত হয়। এই ৮ আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ৪টিতে। তৃণমূল ৩টিতে এবং কংগ্রেস জিতেছে ১টি আসনে। ২০১৬ সালে সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪ আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল মাত্র ৩টি আসনে। বাম ফ্রন্ট জিতেছিল ৩২টি আসনে আর কংগ্রেস জিতেছিল ৪৪টি আসনে।