৯৩ বছর বয়সে বৃদ্ধার শখ বিমান চালানো

৯৩তম জন্মদিনে এই বিমানটি চালানো শিখছেন মলি ম্যাকার্টনি (৯৩)।
৯৩তম জন্মদিনে এই বিমানটি চালানো শিখছেন মলি ম্যাকার্টনি (৯৩)।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনের একটি বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা মলি ম্যাকার্টনি। কিছুদিন আগে ৯৩ তম জন্মদিন পার করছেন। এই বয়সে বৃদ্ধার শখ হয়েছে—আকাশে বিমান নিয়ে উড়বেন। আর সেটি পাইলটের পাশে বসে নয়, বিমান নিজেই চালাবেন তিনি। লন্ডনের একটি বিমানঘাঁটিতে তিনি এখন বিমান চালনা শিখছেন। মলি বলেন, ‘ইংল্যান্ড এত সুন্দর, আকাশে না উড়লে আমি জানতামই না, এক সবুজেরই ৫০ রকম শেড হয়।’

মলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একজন নৌসেনা। রোমাঞ্চকর জীবন তাঁর বরাবরই পছন্দ। সেই চিন্তা থেকেই যোগ দিয়েছিলেন যুদ্ধে। মলি বলেন, উইমেন্স রয়্যাল নেভাল সার্ভিসে (রেনস) তিনি যখন যোগ দেন, তখন চিন্তাতেও আসেনি, নারীরাও আকাশে উড়তে পারেন। পাথ গেজেটের একটি প্রামাণ্যচিত্রে একদিন চোখ আটকে যায় তাঁর। সেখানে দুই নারী পাইলটকে দেখেন, তাঁরা ওয়েলিংটন বোমারু বিমান চালান। মলির সঙ্গে সঙ্গে মাথায় আসে, যে রোমাঞ্চকর জীবনের জন্য রেনসে যোগ দিয়েছিলেন, তবে তিনি কেন বসে আছেন? ওরা পারলে তিনি নয় কেন। মলি তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তিনি বিমান চালনা শিখবেন। তবে তা আর হয়েই ওঠেনি এত দিন মলির।

নৌবাহিনীতে যোগ দেওয়ারও এক গল্প আছে। সে সময় ১৭ বছরের নিচে কাউকে নেওয়া হতো না নৌবাহিনীতে। মলি যখন যোগ দেন, তখন সদ্য ১৬ পেরিয়েছেন তিনি। মলি হেসে বলেন, তিনি বয়স লুকোতে জন্মসনদ জাল করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে একবার প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের কাছে একটি চিঠি পৌঁছানোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। চার্চিল তখন এইচএমএস রাজা পঞ্চম জর্জ (কেজি৫) জাহাজে থেকে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করছিলেন।

যুদ্ধ শেষে চাকরি চলে যায় মলির। এরপর তিনি তিনি গৃহকর্মী, নার্স ও শেফ হিসেবে কাজ করেন। তবে আকাশে ওড়ার নেশা মাথা থেকে তখনো যায়নি। চিন্তাটা মাথায় এল ৭০ তম জন্মদিনে। সিদ্ধান্ত নিলেন, আবার উড়বেন আকাশে। তা–ও শুরু করতে করতে আবার ২৩ বছর লেগে গেল তাঁর।