ব্রাজিলে কারা দুর্বৃত্তদের সংঘর্ষে নিহত ৪০

ব্রাজিলের জেলগুলোতে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষের কারণে প্রাণ হারাচ্ছেন কয়েদিরা। তাঁদের স্বজনেরা জানে না এই অনিশ্চয়তার শেষ কোথায়। ছবি: রয়টার্স।
ব্রাজিলের জেলগুলোতে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষের কারণে প্রাণ হারাচ্ছেন কয়েদিরা। তাঁদের স্বজনেরা জানে না এই অনিশ্চয়তার শেষ কোথায়। ছবি: রয়টার্স।

ব্রাজিলে আমাজন জঙ্গলের শহর বলে পরিচিত মানাউসের কারাগারে গতকাল সোমবার দুর্বৃত্তদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ৪০ জন কয়েদিকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, প্রতিদ্বন্দ্বী কারা দুর্বৃত্ত দলগুলোর লড়াইয়ে গত রোববার ১৫ জন নিহত হন। এ ঘটনার পরদিন আমাজন জঙ্গলের নিকটবর্তী শহর মানুয়াসের চারটি কারাগার থেকে ৪০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। 


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মানাউসে ফেডারেল টাস্কফোর্স পাঠানো হয়েছে। ব্রাজিলের জেলখানাগুলোর ওপর মাদক ব্যবসায়ী মাফিয়া দলগুলোর আধিপত্য থাকায় প্রায়ই কারাগারের ভেতরে সহিংস হামলার ঘটনা ঘটে।

২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ব্রাজিলের কারাগারগুলোয় টানা তিন সপ্তাহের সহিংসতায় প্রায় ১৫০ কয়েদি নিহত হন। স্থানীয়ভাবে ব্রাজিলের প্রধান দুটি মাদক পাচারকারী দল ফার্স্ট ক্যাপিটাল কমান্ড এবং রেড কমান্ড সেবার পরস্পরকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করে।

আমাজনের কেন্দ্রীয় কারা বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, গতকাল সোমবার কারাগারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে ৪০ থেকে ৪২ জন কয়েদি নিহত হয়েছেন। কারা কর্তৃপক্ষ চারটি জেল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে জানায় তারা। এ ঘটনার কোনো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

রোববারের ঘটনায় মানুয়াস জেলে নিহত ১৫ জনকে শ্বাস রোধ করে এবং ছুরিকাঘাতে মেরে ফেলা হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। ব্রাজিলের ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো দেশটির জেলগুলো পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার ওয়াদা করেছেন। এ ছাড়া প্রয়োজনে আরও অনেক জেল নির্মাণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

বেশির ভাগ কারাগারের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করা হয় রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে। বছরের পর বছর ধরে জনাকীর্ণ জেলগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ব্রাজিলের অনেক কারাগার মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়োগ কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।