আসামে জয়ী খালেকের মা হয়রানির শিকার

মাকে নিয়ে এনআরসি কেন্দ্রে আসাম থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস প্রার্থী আবদুল খালেক। ছবি: ইনসাইডএনইর সৌজন্যে
মাকে নিয়ে এনআরসি কেন্দ্রে আসাম থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস প্রার্থী আবদুল খালেক। ছবি: ইনসাইডএনইর সৌজন্যে

হয়রানির কবল থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না আসাম থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের প্রার্থী আবদুল খালেক। ভারতের সদ্য লোকসভা ভোটে জিতেছেন তিনি। তবু তাঁর মাকে প্রমাণ দিতে হচ্ছে নাগরিকত্বের।

আসামের বরপেটা লোকসভা আসন থেকে সম্প্রতি নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেসের আবদুল খালেক। পরাস্ত করেছেন বিজেপির শরিক দল অসম গণপরিষদের কুমার দীপক দাসকে।

তবে আবদুল খালেক নির্বাচনে জিতেও স্বস্তিতে নেই। রাজ্যের আর পাঁচজন সংখ্যালঘুর মতো তিনিও হয়রানির শিকার। তাঁর বৃদ্ধা মাকে হাজিরা দিতে হয় নিজের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে।

আবদুল খালেকের ৭৫ বছরের বৃদ্ধা মা সাবুয়া খাতুনের নাগরিকত্ব নিয়ে আপত্তি ওঠে। আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয় বিজ্ঞপ্তি। হাজিরা দিতে হয় জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) কেন্দ্রে।

সাবুয়া খাতুনের নাগরিকত্ব নিয়ে আপত্তি করেছিলেন জনৈক হৃদয় রঞ্জন নাথ। কিন্তু হৃদয় নিজেই গরহাজির ছিলেন আপত্তি শুনানির দিন। তাই খারিজ হয়ে যায় তাঁর আপত্তি।

এনআরসি কেন্দ্র থেকে মাকে নিয়ে ফিরে আসেন খালেক। তাঁকে দিতে হয়নি নাগরিকত্বের প্রমাণ। তবে হয়রানির শিকার হতে হয় তাঁকে।

আসামের বিভিন্ন সংখ্যালঘু সংগঠন এনআরসির নামে অযথা হয়রানির অভিযোগ তুলে ভুয়া অভিযোগকারীদের শাস্তি দাবি করে আসছে। তাদের অভিযোগ, ধর্মীয় ও ভাষিক সংখ্যালঘুদের ইচ্ছাকৃতভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।

খালেকের মতো আসামের বর্ষীয়ান নেতা সাবেক মন্ত্রী গৌতম রায় ও তাঁর ছয় বছরের নাতিও একই ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাঁর ক্ষেত্রেও অভিযোগকারী নির্ধারিত দিনে অনুপস্থিত ছিলেন এনআরসি কেন্দ্রে।

খালেক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁর মায়ের জন্ম আসামের কলাগাছিয়ায়। ১৯৫১ সালের প্রথম এনআরসি তালিকাতেও তাঁর মায়ের নাম ছিল। নাম ছিল ১৯৭০ সালে ভোটার তালিকাতেও।

তারপরও হয়রানি চলছে। খালেকের আরও অভিযোগ, বৈধ ভারতীয় নাগরিক সংখ্যালঘুদের এনআরসির নামে হয়রানি করা হচ্ছে। চলছে গভীর চক্রান্ত।

১৫ জুন প্রকাশিত হতে চলেছে এনআরসির অতিরিক্ত তালিকা। আর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে এনআরসির পূর্ণাঙ্গ তালিকা। গত বছর ৩০ জুলাই প্রকাশিত চূড়ান্ত খসড়া তালিকায় ৪০ লাখ ৭ হাজার ৭০৭ জনের নাম বাদ যায়।