জাপানে হামলাকারীর বাড়ি তল্লাশি

গত মঙ্গলবার স্কুলবাসের জন্য অপেক্ষারত শিক্ষার্থীদের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালানোর ঘটনায় নিহত হয় দুজন। ছবি: এএফপি।
গত মঙ্গলবার স্কুলবাসের জন্য অপেক্ষারত শিক্ষার্থীদের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালানোর ঘটনায় নিহত হয় দুজন। ছবি: এএফপি।

জাপানের কাওয়াসাকিতে স্কুলবাসের জন্য অপেক্ষারত শিক্ষার্থীদের ওপর ছুরি নিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির বাড়ি তল্লাশি করেছে জাপানের পুলিশ। আজ বুধবার এই তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হয়।

এএফপির খবরে জানানো হয়, ৫১ বছর বয়সী রুইচি ইওয়াসাকিকে হামলাকারী হিসেবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হামলাকারী নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে নিহত হওয়ায় হামলার পেছনের উদ্দেশ্য জানা সম্ভব হয়নি।

গণমাধ্যম এনএইচকের বরাতে জানা যায়, আজ সকালে আক্রান্ত স্থানের পাশেই ইওয়াসাকির বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকে বেশ কিছু জিনিস জব্দ করা হয়। ইওয়াসাকির পেশা বা তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, তিনি ৮০ বছর বয়সী আত্মীয়দের সঙ্গে কাওয়াসাকিতে থাকতেন।

চলমান তদন্ত সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দুজন নিহত হয়। এর মধ্যে ১১ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী হানাকো কুরিবায়াসি রয়েছে। আরেকজন ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলে শনাক্ত করেছেন সরকারি কর্মকর্তা সাতোশি ওয়ামা। এ ঘটনায় অন্তত ১৭ জন আহত হয়।

কারিতাস স্কুলের শিক্ষার্থীরা বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। পেছন থেকে নিঃশব্দে এসে দুই হাতে ছুরি নিয়ে হামলা চালান ইওয়াসাকি। অতর্কিত হামলা থেকে নিজেদের বাঁচানোর সুযোগ পায়নি উপস্থিত জনতা, যাদের বেশির ভাগই ছিল শিশু। হামলার একপর্যায়ে নিজের গলায় ছুরি চালান ইওয়াসাকি।

স্থানীয় গণমাধ্যমের সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ সেকেন্ড ধরে চলা এই হামলায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া হামলাকারীর ব্যাকপ্যাক থেকে আরও দুটি অব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। প্রতিবেশীরা ইওয়াসাকি সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানাতে পারেননি।

সংবাদ সংস্থা কিওডোকে এক নারী প্রতিবেশী বলেন, হামলার ৪০ মিনিট আগেও ইওয়াসাকি তাঁকে সুপ্রভাত জানিয়েছিলেন। অন্যান্য দিনের চেয়ে ব্যতিক্রমী এই ঘটনায় খটকা লাগে তাঁর। ইওয়াসাকি স্থানীয় স্কুলে যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল, কিন্তু এ কথার সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

এক ব্যক্তি নিজেকে হাইস্কুলে ইওয়াসাকির সহপাঠী দাবি করে জানান, ইওয়াসাকি তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে খেলার ছলে মারামারি করলেও কাউকে সহিংসভাবে হামলা করার মানুষ নন।

এ ঘটনায় স্কুলগামী শিশুদের নিরাপত্তা জোরদার করার উদ্যোগ নিয়েছে জাপান সরকার।