পুলিশের ডান্ডায় বাঁশির সুর

পুলিশ সদস্য চন্দ্রকান্ত হুটগি
পুলিশ সদস্য চন্দ্রকান্ত হুটগি

‘তেড়ে মেরে ডান্ডা করে দিই ঠান্ডা’—পুলিশের ডান্ডার মাহাত্ম্য অনেকটা এমনই। এই ডান্ডার ভয়ে তটস্থ থাকে আসামি, বিক্ষোভরত জনতা বা অনেক সময় সাধারণ মানুষও। কিন্তু এই ডান্ডাকেই ভুবনভোলানো বাঁশি বানিয়েছেন ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে পুলিশের একজন সদস্য। তাঁকে দায়িত্বের জন্য একটি ফাইবারের লাঠি দেওয়া হলেও তিনি সেই লাঠিকে বাঁশিতে রূপান্তর করে তুলেছেন লোক ও কন্নড় ছবির গানের সুর।

এই পুলিশ সদস্যের নাম চন্দ্রকান্ত হুটগি (৫২)। তিনি কর্ণাটকের হুবলি রুরাল পুলিশ স্টেশনের বর্তমানে হেড কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। ভারতে ইদানীং বাঁশ বা বেতের লাঠি উঠে গেছে। সেখানে এসেছে ফাইবারের লাঠি। এই ফাঁপা লাঠিতে আটটি ছিদ্র করে সেটিকে পুরোদস্তুর বাঁশিতে রূপ দিয়েছেন চন্দ্রকান্ত। এই বাঁশিই তিনি একঘেয়েমি কাটাতে অবসরে বাজান। সেই বাঁশির সুরে মন মজান তাঁর সহকর্মী থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও।

একসময়ের শখ থেকেই বাঁশি বাজানো নেশা হয় চন্দ্রকান্তের। এখন লাঠিকে বাঁশি বানানোয় পেশা আর নেশাকে একই বিন্দুতে মিলিয়েছেন তিনি। তাঁর বাঁশির সুনাম শুনে বেঙ্গালুরু পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ভাস্কর রাও তাঁকে ডেকে পাঠান। তিনি চন্দ্রকান্তের বাঁশি বাজানো ভিডিও করে টুইটারে দিলে সেটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। লোকের মুখে মুখে এখন চন্দ্রকান্তের বাঁশির সুনাম।

চন্দ্রকান্ত বলেন, রাও তাঁকে উৎসাহিত করেছেন বাঁশি বাজাতে। এমনকি ২৩ মে লোকসভার ভোট গণনার পর ধারওয়াদ কেন্দ্রে পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বাঁশি শুনতে।