রাহুলের প্রশংসায় সোনিয়া

সোনিয়া গান্ধী
সোনিয়া গান্ধী

আরও একবার কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেত্রী নির্বাচিত হলেন সোনিয়া গান্ধী। আজ শনিবার সংসদ ভবনে সংসদীয় দলের বৈঠকে সর্বসম্মতিতে তিনি নেত্রী নির্বাচিত হন। সোনিয়ার নাম প্রস্তাব করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সমর্থন করেন ঝাড়খন্ডের সাংসদ জ্যোতিমনি ও কেরালার কে সুধাকরণ।

সংসদীয় দলের নেত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ভাষণে সোনিয়া ধন্যবাদ জানান দেশের ১২ কোটি ১৩ লাখ ভোটারকে, যাঁরা গত নির্বাচনে কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে দলের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, রাহুল সামনে থেকে দৃঢ়ভাবে দল পরিচালনা করেছেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন। দিন–রাত এক করে মোদি সরকারের মোকাবিলা করেছেন। মানুষের দুর্দশা ও উদ্বেগের বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে দলকে ক্ষমতাসীন করেছেন। লোকসভার ভোটে যাঁরা জয়ী হয়েছেন, তাঁদের নিয়ে কংগ্রেস নিষ্ঠার সঙ্গে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে।
সোনিয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে রাহুল টুইট করে বলেছেন, সোনিয়াজির নেতৃত্বে কংগ্রেস এক শক্তিশালী ও কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে দেশের সংবিধান রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাবে। সংসদের বাজেট অধিবেশনে দলের কৌশল নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয়।

সোনিয়া সংসদীয় দলের নেত্রী পুনর্নির্বাচিত হলেও দুই কক্ষে দলের নেতা কে হবেন তা এখনো ঠিক হয়নি। মীমাংসা হয়নি দলের সভাপতি পদে রাহুল থাকবেন কি না, সেই প্রশ্নেরও। রাহুল যে পদত্যাগের ইচ্ছা থেকে সরে এসেছেন এখনো সেই ঘোষণা আনুষ্ঠানিকভাবে করা হয়নি। সব মহল থেকে এ জন্য রাহুলের ওপর চাপ বাড়ছে। দলের নেতারা তো বটেই, বন্ধু দলের নেতারাও তাঁকে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার অনুরোধ করেছেন।

লোকসভার নেতা হতে রাহুল অবশ্য আপত্তি জানাননি। গতবারের নেতা মল্লিকার্জুন খারগে এবার কর্ণাটক থেকে জিততে পারেননি। মধ্যপ্রদেশ থেকে হেরে গেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও। মোট ৫২ আসন পাওয়ায় এবারও সরকারিভাবে বিরোধী দলের মর্যাদা কংগ্রেস পাবে না। ওই মর্যাদা পেতে গেলে প্রয়োজন ছিল ৫৫টি আসন।
লোকসভার ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকে রাহুল নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার পর থেকে খুব একটা প্রকাশ্যে আসছেন না। দলের কোনো বৈঠকও ডাকেননি। নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা ছাড়া তিনি গত কদিনে মাত্র দুজন নেতার সঙ্গে দেখা করেন। এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী।