যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ট্রাম্পের পছন্দ বরিস

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বরিস জনসন
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বরিস জনসন

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর এখন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলে নতুন নেতা নির্বাচনের তোড়জোড় চলছে। এই নেতাই আবার হবেন দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের জন্য বরিস জনসনই হবেন ‘চমৎকার’ ব্যক্তিত্ব। প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও তিনি ভালো করবেন।

ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের আমন্ত্রণে আগামীকাল সোমবার যুক্তরাজ্য সফরে যাবেন ট্রাম্প। এর আগে দেশটির সংবাদপত্র দ্য সানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি গত শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে।

ট্রাম্পের তিন দিনের যুক্তরাজ্য সফর শেষ হতেই ৭ জুন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করবেন থেরেসা মে। তাঁর উত্তরসূরি হওয়ার দৌড়ে থাকা দলটির নেতাদের মধ্যে বরিস জনসনকে ‘খুব ভালো মানুষ ও প্রতিভাবান ব্যক্তি’ বলে সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসন ভালো করবেন। আমার ধারণা, তিনি (বরিস জনসন) হবেন অসাধারণ।’ বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টের প্রতিও সমর্থন ব্যক্ত করে ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি তাঁকে পছন্দ করি।’

 সানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে থেরেসা মের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি থেরেসা মেকে বলেছিলাম, নিজের গোলাবারুদের ভান্ডার নিজেরই গড়তে হবে।...এক পক্ষ সব দিক দিয়ে এগিয়ে থাকলে খেলা বেশ কঠিন।’

মেগান জঘন্য

২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তৎকালীন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে মেগান মার্কেল বলেছিলেন, ট্রাম্পের রাজনীতি বিভেদ সৃষ্টিকারী। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি কানাডা চলে যাবেন। মেগানের ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট সানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘তিনি এত জঘন্য, আমি জানতাম না।’

উল্লেখ্য, সাবেক হলিউড অভিনেত্রী মেগান মার্কেল এখন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য। গত বছর প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর।