দায়িত্ব নিয়েই খাগড়াগড়ের ফাইল তলব অমিত শাহের

অমিত শাহ। ছবি: রয়টার্স
অমিত শাহ। ছবি: রয়টার্স

দায়িত্ব নিয়েই পশ্চিমবঙ্গের চাঞ্চল্যকর খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার নথি চেয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতিও। গত সপ্তাহে নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শাহ। 

খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ। এনআইএ ইতিমধ্যে এই মামলায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে। এনআইএ ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে এখনো পলাতক রয়েছেন ২ জন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই নথি চেয়ে মূলত জানতে চাইছেন এই বিস্ফোরণের সঙ্গে কারা জড়িত, পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবিকে কারা মদদ দিচ্ছে, রাজ্য সরকার এই জঙ্গি কার্যক্রম বন্ধের জন্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে ইত্যাদি। জানতে চাইছেন জঙ্গি গোষ্ঠী জেএমবি এই তাদের শিকর কত দূর পর্যন্ত বিস্তৃত করেছে।

২০১৪ সালের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে জেএমবির দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। এই ঘটনার তদন্তভার নেয় এনআইএ। এখন এই খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার বিচার চলছে কলকাতার নগর আদালতে।

গত আগস্টে এনআইএ গ্রেপ্তার করে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কাওসার ওরফে বোমারু মিজানকে। দীর্ঘ চার বছর পর এনআইএ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর রামনগর এলাকা থেকে । এই কাওসারকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এনআইএ ১০ লাখ রুপি পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিল। ৩৮ বছর বয়সী এই কাওসার ছিলেন খাগড়াগড়-কাণ্ডের প্রধান হোতা এবং জেএমবির শীর্ষ নেতা। তাঁর কাজ ছিল পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামে জেএমবির ঘাঁটি তৈরি করা। তিনি বুদ্ধগয়ার বিস্ফোরণ-কাণ্ডেও জড়িত ছিলেন।

এই কাওসার বা বোমারু মিজান ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে প্রিজনভ্যানে হামিলা চালিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে দুই জঙ্গিসহ পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও মারা যান বোমারু মিজানের দুই সঙ্গী। আর বোমারু মিজান এরপর চোরাইপথে ভারতে এসে আত্মগোপন করেন।

খাগড়াগড়ের যে ভাড়া বাড়িটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, সেটির মালিক ছিলেন পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতা।