বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের উদ্বেগ

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও সংকুচিত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। দেশটি বলেছে, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়ে পর্যাপ্ত একাধিক অভিযোগ আছে।’ যুক্তরাজ্য সরকারের ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি রিপোর্ট ২০১৮’-এর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যের বিদেশ ও কমনওয়েলথ কার্যালয় থেকে আজ বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৮ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকারের সুরক্ষা ও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক—যুক্তরাজ্য দৃঢ় ও স্বচ্ছভাবেই এটা প্রত্যাশা করেছিল। গণতান্ত্রিক ও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তা সহায়তা করবে।’


প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সব বিরোধী দলের এ নির্বাচনে অংশ নেওয়াটা উৎসাহব্যঞ্জক ছিল। নির্বাচনের সময় গ্রেপ্তারসহ নানা রকম বাধা তৈরি করা হয়েছিল। যার কারণে বিরোধী দলগুলোর নির্বাচনী প্রচারণা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। নির্বাচনের দিনে নানা রকম অনিয়মের আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ আছে। যার ফলে অনেকেই ভোট দিতে পারেননি।’

নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট যত রকমের অভিযোগ রয়েছে, তার সব কটির গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য বাংলাদেশের কাছে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেল বছর বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়ে যায়। এ ছাড়া মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও কমেছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে ৫৪ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরগুলোর অবস্থা উন্নত হয়েছে। যদিও আশ্রয়শিবিরে যৌন হয়রানি, মানব পাচার, অপরাধমূলক কাজসহ নারী-পুরুষের মৌলিক সেবাগুলো এখনো ঝুঁকির মুখে রয়ে গেছে।

ওই প্রতিবেদনে জাতিসংঘের সংস্থা ও এনজিওদের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের অতিরিক্ত সাত কোটি মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া মোট অর্থের পরিমাণ ১২ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার।