মালিতে হামলায় এক গ্রামেই নিহত ১০০

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে অস্থিরতা থামছেই না। প্রতীকী ছবি: রয়টার্স
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে অস্থিরতা থামছেই না। প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

মালির মধ্যাঞ্চলের একটি গ্রামে হামলায় প্রায় ১০০ জন নিহত হয়েছে। মালির মধ্যাঞ্চলের ওই গ্রাম মূলত দোগোন আদিবাসী গোষ্ঠী অধ্যুষিত।

ফরাসি ভাষার স্থানীয় সংবাদপত্র আরএফআইয়ের বরাত দিয়ে আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, মালির মধ্যাঞ্চলের শহর সাংগার নিকটবর্তী এলাকা সোবান-কুতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যমতে, হামলায় নিহতদের অধিকাংশের মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আরও মরদেহ রয়েছে কিনা, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।

গত কয়েক মাস ধরেই মালিতে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব হামলা আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে যেমন হচ্ছে, তেমনি জিহাদি গোষ্ঠীগুলোও হামলা চালাচ্ছে। এবারে হামলার শিকার হওয়া দোগোন গোষ্ঠীর সঙ্গে ফুলানি গোষ্ঠীর বিবাদ অনেক পুরোনো। এ দুই গোষ্ঠীর মধ্যে পেশাগত দূরত্বও রয়েছে। দোগোনরা মূলত শিকারি হলেও ফুলানিদের সমাজ পশুপালনভিত্তিক। গত মার্চেই ফুলানি অধ্যুষিত গ্রামে দোগোন শিকারিদের পোশাক পরিহিত একদল হামলা চালায়, যেখানে ১৩০ জন নিহত হয়।

দোগোন-ফুলানি দ্বন্দ্ব অনেক পুরোনো হলেও ২০১২ সালে দেশটিতে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান হলে এ দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা বেড়ে যায়। ২০১৫ সাল নাগাদ জিহাদি গোষ্ঠীর উত্থান মালির মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়লে এ বিবাদ নিরসন দেশটির সরকারের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। আগে এ ধরনের বিবাদ সাধারণত আলোচনার মাধ্যমে নিরসন সম্ভব হলেও এখন এ গোষ্ঠীগুলোর ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ ক্রমেই কমে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বেড়েছে অস্ত্রের সরবরাহ। মালিতে বিদ্যমান অস্থিতিশীলতার জন্য এ দুই গোষ্ঠী পরস্পরকে দায়ী করে আসছে শুরু থেকেই।