ওমান উপসাগরে দুটি তেলের ট্যাংকারে বিস্ফোরণ

ওমান উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে বিস্ফোরণ ঘটেছে। ছবি: এএফপি
ওমান উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে বিস্ফোরণ ঘটেছে। ছবি: এএফপি

ওমান উপসাগরে বৃহস্পতিবার দুটি তেলের ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পর সেখান থেকে ৪৪ জন ক্রু–কে উদ্ধার করা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) চারটি তেলের ট্যাংকারে বিস্ফোরণের এক মাস পরই এই ঘটনা ঘটল।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম ওই তেল রুটে বিস্ফোরণের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে ট্যাংকার দুটি এখনো ভাসমান রয়েছে।

ইরান বলছে, জলযান ‘কোকুকা কারিজিয়াস’ থেকে ২১ জন এবং ‘ফ্রন্ট আলটিয়ার’ থেকে ২৩ জন ক্রুকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এ দিকে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার এই ঘটনার পর গত পাঁচ মাসের চেয়ে তেলের দাম বেড়েছে সাড়ে চার শতাংশ।

নরওয়ের মালিকানাধীন ফ্রন্ট আলটিয়ার। নরওয়ের সামুদ্রিক কর্তৃপক্ষ বলছে, ফ্রন্ট আলটিয়ার ‘হামলার’ শিকার হয়েছে। যানটিতে তিনটি বিস্ফোরণ হয়েছে। ফ্রন্ট অলটিয়ার ভাড়া নিয়েছে তাইওয়ান। তাইওয়ানের রাষ্ট্রীয় জ্বালানি প্রতিষ্ঠান সিপিসি করপোরেশনের একজন মুখপাত্র বলেন, ফ্রন্ট অলটিয়ার ৭৫ হাজার টন তেল ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, টর্পেডো দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।

জাপানের মালিকানাধীন কোকুকা কারিজিয়াসের একজন মুখপাত্র জানান, বিস্ফোরণের পর ক্রুরা ছোটো জলযান নিয়ে জাহাজ থেকে নিরাপদে সরে যান। এই যানে মিথানল পরিবহন করা হচ্ছিল। বর্তমানে এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ উপকূল থেকে ৮০ কিলোমিটার ও ইরানের উপকূল থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

মাসখানেক আগে ইউএইর চারটি ট্যাংকারে হামলা চালানোর ঘটনার চেয়ে আজকের ঘটনা বেশি মারাত্মক বলে উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমগুলো। কারণ ওই ঘটনায় কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি ও কাউকে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন পড়েনি। ওই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানকে দায়ী করে। যদিও সৌদি আরব, ইউএই ও নরওয়ে গত সপ্তাহে জাতিসংঘে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তাতে এই ঘটনার জন্য কাউকে দায়ী করা হয়নি।