'এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না'

তপন থিয়েটার হলে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত বিদ্বজ্জন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
তপন থিয়েটার হলে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত বিদ্বজ্জন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচন–পরবর্তী রাজনৈতিক সংঘর্ষ এখনো চলছে। নির্বাচনোত্তর সহিংসতা ও সন্ত্রাসের নিন্দা করে পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য ধর্মনিরপেক্ষতাকে ফের ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক সমাজ।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার তপন থিয়েটার হলে ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে কলকাতার নাগরিক সমাজ। এই আলোচনা সভায় যোগ দেন কবি শঙ্খ ঘোষ, নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্র প্রসাদ সেনগুপ্ত, অশোক মুখোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, চিত্রপরিচালক অপর্ণা সেন, সাহিত্যিক নবনীতা দেব সেন, দেবেশ রায়, চিত্রকর ওয়াসিম কাপুর প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা এই রাজনীতির নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, কলকাতা সব সময়ই অসাম্প্রদায়িক শহর হিসেবে পরিচিত। তবে এই শহর আজ নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় বিদীর্ণ হচ্ছে। রাজনৈতিক ডামাডোলে উত্তাল হয়ে পড়ছে এই রাজ্যের দীর্ঘদিনের লালিত ধর্মনিরপেক্ষতা। কলকাতাকে পুরোনো ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাঁরা বলেন, এই রাজ্যের অসাম্প্রদায়িক চিন্তাচেতনাকে আমাদের ফের তুলে ধরতে হবে। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে রাজ্যের ঐহিত্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বজায় রাখার আহ্বান জানান তাঁরা।

অপর্ণা সেন বলেন, ‘কলকাতাকে আবার আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। সব মানুষকে সম্প্রীতির বন্ধনে আটকে রাখতে হবে।’

অভিনেতা কৌশিক সেন বলেছেন, ‘সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় নাগরিক সমাজ এক হতে পেরেছিল।’ সাহিত্যিক নবনীতা দেব সেন বলেছেন, ‘বাংলার ধর্মসংকটে বিচলিত আমরা। এই দুঃসময়ে এর মোকাবিলা করতে হবে আমাদের।’