সিরিয়ায় ৪৮ ঘণ্টার লড়াইয়ে নিহত শতাধিক

শাসকগোষ্ঠী এবং তাঁদের মিত্র রাশিয়ার ক্রমাগত গোলাবর্ষণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইদলিব প্রদেশ। ছবি: এএফপি
শাসকগোষ্ঠী এবং তাঁদের মিত্র রাশিয়ার ক্রমাগত গোলাবর্ষণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইদলিব প্রদেশ। ছবি: এএফপি

সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে গত দুই দিনে শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের বাস। কয়েক মাস আগে হওয়া আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতি চুক্তির বলে ইদলিবের সুরক্ষা পাওয়ার কথা। কিন্তু গত এপ্রিলের শেষদিক থেকে সরকারি বাহিনীও তাঁদের রুশ মিত্রদের কারণে এলাকাটিতে গোলাবর্ষণের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে।

সিরিয়ার মানবাধিকার গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, বিদ্রোহী অধ্যুষিত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গত মঙ্গলবার থেকে হামলা-সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এতে ৭৫ জন বিদ্রোহী যোদ্ধা ও সরকারি বাহিনীর ২৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ১৪ জন বিদ্রোহী এবং সরকার সমর্থিত বাহিনীর ১৯ জন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানায় তাঁরা।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, হামা প্রদেশের উত্তরে তাল মেলেহকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ চলতে থাকে। সংঘর্ষ এখনো চলছে বলে জানান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান রামি আবদুল রহমান। সরকারি বাহিনী ও রুশ যুদ্ধবিমান এখনো ওই এলাকার আকাশে টহল দিচ্ছে। রামি আবদুল রহমান জানান, গতকাল বুধবার বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোর বিভিন্ন অংশে শাসকগোষ্ঠীর গোলাবর্ষণে ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদার সিরিয়া শাখার সাবেক সদস্যরা হায়াত তাহরির আল-শাম নামে একটি দল পরিচালনা করছে। ইদলিবের পাশাপাশি লাতাকিয়া, হামা এবং আলেপ্পো এলাকা জুড়ে তাঁদের আধিপত্য ক্রমেই বাড়ছে। এপ্রিল মাসের শেষ দিক থেকে সিরিয়া সরকার এবং রাশিয়া গোলাবর্ষণের পরিমাণ বাড়িয়েছে।

২০১১ সালে সরকারি-বিরোধী আন্দোলন দমনের জের ধরে সিরিয়ায় যুদ্ধে অন্তত ৩ লাখ ৭০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।