এমপির পদ কেড়ে নিল জনগণ

ক্রিস ডেভিস ও ফিওনা ওনাসানিয়া
ক্রিস ডেভিস ও ফিওনা ওনাসানিয়া

ভোটে জিতে আইনপ্রণেতা হলে পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতা নিশ্চিত—যুক্তরাজ্যের গণতন্ত্রে এটা প্রযোজ্য নয়। আইনপ্রণেতা অভিযুক্ত হলে আদালত যেমন আইনপ্রণেতাদের (এমপি) সাজা দেন, তেমনি জনগণও কেড়ে নিতে পারেন তাঁর পদ। গত শুক্রবার এ ঘটনাই ঘটল।

যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের ব্রেকন অ্যান্ড রেডনোরশায়ার আসনের এমপি ছিলেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ক্রিস ডেভিস। ২০১৬ সালে তিনি কার্যালয় সজ্জায় একটি ছবির জন্য ৭০০ পাউন্ডের বিল করেন, যা ভুয়া প্রমাণিত হয়। গত ২৩ এপ্রিল লন্ডনের একটি আদালত তাঁকে জরিমানা করেন। এর জেরে ডেভিসের নির্বাচনী এলাকার জনগণ তাঁর এমপি পদ কেড়ে নেওয়ার প্রস্তাব আনেন। শুক্রবার হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বার্কো বলেন, ব্রেকন অ্যান্ড রেডনোরশায়ার আসনের ১৯ শতাংশ ভোটার উপনির্বাচন চেয়েছেন। ফলে ডেভিস এমপি পদ হারিয়েছেন।

২০১৫ সালে প্রণীত ‘দ্য রিকল অব এমপিস অ্যাক্ট’ আইনে বলা হয়েছে, মিথ্যাচার, দুর্নীতি কিংবা কোনো অপরাধে আইনপ্রণেতা দণ্ডিত হলে সংশ্লিষ্ট আসনের বাসিন্দারা ওই আসনে উপনির্বাচন দাবি করতে পারবেন। আসনের ১০ শতাংশ ভোটার স্বাক্ষর করলেই আসনটি শূন্য হবে।

এর আগে গত মার্চে সড়কে গাড়ির গতিসীমা লঙ্ঘন করে অভিযুক্ত পিটারবোরা আসনের এমপি ফিওনা ওনাসানিয়া পদ হারান।