সিঙ্গাপুরে ড্রোনের উৎপাতে বিমান চলাচল ব্যাহত

ড্রোনের কারণে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর চাঙ্গিতে বিমান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ছবি: বিবিসি।
ড্রোনের কারণে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর চাঙ্গিতে বিমান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ছবি: বিবিসি।

অননুমোদিত ড্রোন উড্ডয়নের কারণে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে এক সপ্তাহে মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। দেশটির সিভিল অ্যাভিয়েশন অথোরিটি (সিএএসি) জানিয়েছে, ড্রোন এবং খারাপ আবহাওয়াজনিত সমস্যায় ১৮টি ফ্লাইট দেরিতে ছাড়া এবং সাতটি ফ্লাইট বদল করা হয়।

গত সপ্তাহে ড্রোনের উপস্থিতি টের পেয়ে চাঙ্গিতে একটি রানওয়ের ব্যবহার স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে ডজনখানেক ফ্লাইট ছাড়তে দেরি হয়। শুধু চাঙ্গি নয়, বিশ্বব্যাপী ড্রোনের অবাধ ব্যবহারে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিমানবন্দরগুলো।

আজ মঙ্গলবার সিএএসি এক বিবৃতিতে বলেছে, খারাপ আবহাওয়া ও অননুমোদিত ড্রোনের কারণে ১৫টি বিমানের গমন ও ৩টি বিমানের আগমনে বিলম্ব ঘটে। ৭টি ফ্লাইট বদল করা হয়। জনসাধারণকে সদস্যদের মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন যে কর্তৃপক্ষ মানবহীন ড্রোনের অপারেশনের ত্রুটিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। এ ধরনের ত্রুটি বিমান চালনার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বা অন্যের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিপন্ন করতে পারে।

এ ব্যাপারে তদন্ত এখনো চলমান বলে জানায় সংস্থাটি। ড্রোন–সংক্রান্ত নিয়ম অমান্য করলে ২০ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার জরিমানা অথবা ১২ মাসের কারাদণ্ড হতে পারে।

চাঙ্গি বিমানবন্দর বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক পরিবহনকেন্দ্র। একই সপ্তাহের মধ্যে দুইবার ড্রোনের আনাগোনা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে কর্তৃপক্ষের কপালে। এর আগে সিএএসি গত বুধবার ড্রোনের কারণে ৩৮টি ফ্লাইটের চলাচল ব্যাহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল।

ড্রোনের কারণে গত ডিসেম্বরে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার যাত্রী নিয়ে বিপাকে পড়ে গেটউইক বিমানবন্দর। যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দরটির রানওয়ে তিন দিনে প্রায় ৩৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এর ফলে হাজারখানেক ফ্লাইট বাতিল বা দেরিতে ছাড়তে হয়। ড্রোনবিরোধী প্রযুক্তি ব্যবহারে মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করছে গেটউইক ও হিথ্রো বিমানবন্দর।