খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনায় আরেকজন গ্রেপ্তার

বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ হওয়া বাড়িটি। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ হওয়া বাড়িটি। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চাঞ্চল্যকর খাগড়াগড় বিস্ফোরণ ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান শেখকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরু শহরের ডোডাবল্লাপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকালই গ্রেপ্তার হাবিবুর রহমান শেখকে এনআইএর বিশেষ আদালতে তোলা হয়, বিচারক তাঁকে এনআইএর হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

এর আগে হাবিবুরকে ধরার জন্য এনআইএ ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।

২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে শাকিল গাজি ও করিম শেখ নামের দুই ব্যক্তি নিহত হন। আহত হন তিনজন। পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি পুলিশের দাবি করে হতাহত ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য। এই ঘটনার তদন্ত ভার নেয় এনআইএ। ওই ঘটনার পর প্রকাশিত হয়, বাড়িটি ছিল জেএমবির অস্ত্র কারখানা। ওখানেই তৈরি হতো গ্রেনেড ও বোমা। তা পাঠিয়ে দেওয়া হতো বাংলাদেশে। এখন এই খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার বিচার চলছে কলকাতার বিশেষ নগর আদালতে। হাবিবুরকে নিয়ে এই মামলায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো বাকি একজন।

গত বছরের আগস্টে এনআইএ গ্রেপ্তার করে খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কাওসার ওরফে বোমারু মিজানকে। এনআইএ ৬ আগস্ট বেঙ্গালুরুর রামনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। বলা হয়, ৩৮ বছর বয়সী এই ‘বোমারু’ মিজান ছিলেন খাগড়াগড়কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড এবং নিষিদ্ধ জেএমবির শীর্ষ নেতা। মিজানকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এনআইএ ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে। তিনি বুদ্ধগয়ার বিস্ফোরণকাণ্ডেও জড়িত বলে অভিযোগ আছে।

মিজান ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে দুই জঙ্গিসহ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় দুই সঙ্গী মারা গেলেও মিজান চোরাই পথে ভারতে এসে আত্মগোপন করেন।