চীনের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে: ট্রাম্প

ত শনিবার জি-২০ সম্মেলনের পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ছবি: রয়টার্স
ত শনিবার জি-২০ সম্মেলনের পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ছবি: রয়টার্স

বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনে চীনের সঙ্গে আলোচনা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গতকাল সোমবার তিনি এমনটাই জানিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, এর আগে গত শনিবার জি-২০ সম্মেলনের পাশাপাশি এক দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন ট্রাম্প। এ সময় চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করার ইঙ্গিতও দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মার্কিন কোম্পানিগুলো হুয়াওয়ের কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারবে বলে জানান ট্রাম্প।

চীনের সঙ্গে বাণিজ্যসংকট সমাধানে আলোচনা করা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেন, এটি এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। তাঁরা ফোনেই বেশি কথা বলছেন, তবে তাঁরা সভাও করছেন।

এ সময় ট্রাম্প আরও বলেন, কোনো চুক্তি হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের অনুকূলে থাকা উচিত। তিনি বলেন, চীনের থেকে বরং এটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই ভালো হবে। কারণ, বহু বছর ধরে চীন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বেশি সুবিধা পেয়ে আসছে। চীনের এই লাভ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘ক্ষতি’ বলে বিবেচনা করেন ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটি এখন নিশ্চিত যে আমরা এমন কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারব না, যাতে উভয় পক্ষই সমান লাভবান হবে। এই সমঝোতা এমনভাবে হওয়া উচিত, যাতে আমরাই সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে পারি।’

তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, আলোচনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র যেসব চাহিদার কথা বলছে, সেগুলো মেনে নেওয়ার ইচ্ছা চীনের মধ্যে খুব একটা প্রবল নয়।

চীনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যসংক্রান্ত বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়। পরে তা ‘বাণিজ্যযুদ্ধে’ রূপ নেয়। এই রেষারেষির জের ধরে কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপরই বাণিজ্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম রূপ নেয়।