অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ভিড়ে ঠাসা আটককেন্দ্রগুলো

অভিবাসনপ্রত্যাশীর ভিড়ে ঠাসা যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অভিবাসী আটককেন্দ্রগুলো। ছবি: এএফপি
অভিবাসনপ্রত্যাশীর ভিড়ে ঠাসা যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অভিবাসী আটককেন্দ্রগুলো। ছবি: এএফপি

অভিবাসনপ্রত্যাশীর ভিড়ে ঠাসা যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অভিবাসী আটককেন্দ্রগুলো, যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের (ডিএইচএস) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক জেনিফার কস্টেলো।

সম্প্রতি ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতাদের একটি দল মেক্সিকো সীমান্তবর্তী অভিবাসী আটককেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখেন। এর এক দিন পরই ডিএইচএসের পক্ষ থেকে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। আজ বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জেনিফার কস্টেলো এক স্মারকলিপিতে ডিএইচএস–প্রধান কেভিন ম্যাক অ্যালিনানকে জানান, রিও গ্র্যান্ডে ভ্যালিতে শিশুসহ সবাইকে এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন আটক রাখার বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নিতে ডিএইচএসকে জানানো হয়েছে। সেখানে অভিবাসীদের অবস্থা বর্ণনায় ওই স্মারকলিপিতে বেশ কিছু ছবিও সংযুক্ত করা হয়।

জেনিফার কস্টেলো বলেন, আটক কেন্দ্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পরিস্থিতি টাইমবোমার মতো বলে মন্তব্য করেছেন। ওই কর্মকর্তা জানান, আটককেন্দ্রের বন্দী, এমনকি কর্মকর্তারাও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছেন।

গত জুনে টেক্সাসের রিও গ্র্যান্ডে ভ্যালির পাঁচটি সীমান্তচৌকি পরিদর্শন করে ডিএইচএস। তারা দেখতে পায়, একেকটি সীমান্তচৌকিতে প্রায় আট হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী আটক রয়েছে। যেখানে সাধারণ নিয়মে ৭২ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৪০০ বন্দী রাখার অনুমোদন রয়েছে। এসব সীমান্তচৌকিতে অভিবাসীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। শিশুদের জন্য কোনো আলাদা ব্যবস্থা নেই। একেকটি খাঁচায় গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ। অনেক বন্দী গোসলের সুবিধা পাচ্ছে না।

সীমান্তচৌকির পক্ষ থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রিও গ্র্যান্ড এলাকার সীমান্তচৌকিতে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত মোট ২ লাখ ২৩ হাজার ২৬৩ জনকে আটক করা হয়েছে, যা গত সময়ের চেয়ে ১২৪ শতাংশ বেশি।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে মুখ খুলছেন সিনেটররা। সিনেটর কমলা হ্যারিস এক টুইটে বলেন, ‘কোনো মানুষের এই আচরণ পাওয়া প্রাপ্য নয়। এটা নির্যাতন, এটা অমানবিক।’ সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন এক টুইটে বলেন, ‘অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। আমাদের দেশে মানুষকে এখন পশুর মতো দেখা হচ্ছে।’