মালালার সঙ্গে ছবি তোলায় মন্ত্রীকে বিদ্রূপ

কুইবেকের শিক্ষামন্ত্রী জাঁ-ফ্রাঁসোয়া রবার্গের সঙ্গে নোবেল পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাই। ছবি: টুইটার
কুইবেকের শিক্ষামন্ত্রী জাঁ-ফ্রাঁসোয়া রবার্গের সঙ্গে নোবেল পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাই। ছবি: টুইটার

নারীশিক্ষা বিস্তারে সক্রিয় কর্মী ও নোবেল পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের সঙ্গে ছবি তোলায় সমালোচিত হয়েছেন কানাডার কুইবেক প্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী জাঁ–ফ্রাঁসোয়া রবার্গ। ছবিতে মালালা মাথায় স্কার্ফ পরে আছেন। নিয়ম অনুসারে, স্কার্ফ পরা কেউ কুইবেকে শিক্ষাদান করতে পারবেন না।

কুইবেকে সম্প্রতি বিতর্কিত আইন পাস করা হয়েছে। এ আইন অনুসারে, কর্মস্থলে কেউ ধর্মীয় কোনো প্রতীক পরতে পারবেন না। এঁদের মধ্যে শিক্ষকও রয়েছেন।

জাঁ-ফ্রাঁসোয়া রবার্গ বলেন, তিনি মালালার সঙ্গে শিক্ষার প্রসার ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন। ফ্রান্স সফরে রবার্গ মালালার সঙ্গে দেখা করেন। তিনি এই আইন সমর্থন করেন। টুইটারে সাংবাদিক সেলিম নাদিম ভালজি রবার্গের কাছে জানতে চান, মালালা কুইবেকে শিক্ষাদান করতে চাইলে তিনি কী করবেন।

রবার্গ বলেন, ‘আমি বলব যে এটা কুইবেকের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। তবে কুইবেকে দায়িত্ব পালনের সময় শিক্ষকদের ধর্মীয় কোনো পোশাক পরার প্রথা নেই।’

২০১২ সালে তালেবান জঙ্গিরা মালালাকে মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত মালালা যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা নেন। ধীরে ধীরে সেরে ওঠেন তিনি। এ ঘটনার পর ওই সময়ের ১৬ বছর বয়সী সাহসী ও বুদ্ধিদীপ্ত এই পাকিস্তানি কিশোরী আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নারীশিক্ষা আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত হন। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছেন মালালা। পেয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার।

গত জুন মাসে কুইবেকে পাস করা এক আইনে সরকারি কর্মীদের ধর্মীয় কোনো প্রতীক ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর মধ্যে হিজাবও রয়েছে। দ্য কোয়ালিশন অ্যাভেনির কুইবেকস বিল অনুসারে বিচারক, পুলিশ কর্মকর্তা, শিক্ষক ও অন্যান্য জননেতা ধর্মীয় কোনো পোশাক পরতে পারবেন না।

এই বিল পাস করার পর ওই প্রদেশে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হয়। এই আইনে নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের কথা বলা হয়নি। তবে সমালোচকেরা বলছেন, কেবল মুসলিম নারীদের টার্গেট করেই এই আইন পাস করা হয়েছে। কারণ, মুসলিম নারীরা ধর্মীয় প্রথা মেনে হিজাব পরেন বা মাথা ঢেকে রাখেন। অনলাইনে কয়েকজন মন্তব্যকারী বলেন, মালালার সঙ্গে ছবি তুলে মন্ত্রী ভণ্ডামি করেছেন।