কর্নাটকে সরকার টলমলো

বিজেপি ও কংগ্রেস
বিজেপি ও কংগ্রেস

সভাপতিহীন কংগ্রেসের ডামাডোলের সুযোগ নিয়ে কর্ণাটকে বিজেপি সরকার গড়ার দিকে পা বাড়াল। শাসক জনতা দল (ধর্মনিরপেক্ষ) ও কংগ্রেসের মোট ১১ জন বিধায়ক আজ শনিবার পদত্যাগ করেছেন। বিধানসভার স্পিকার রমেশ কুমারের কার্যালয়ে গিয়ে আজ ওই বিধায়কেরা তাঁদের পদত্যাগ পত্র জমা দেন। এই ইস্তফা ১৩ মাসের জোট সরকারকে ফেলে দিল সংকটের মধ্যে।

স্পিকার রমেশ কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকার থাকবে না পতন ঘটবে তা নির্ধারিত হবে বিধানসভায়।

পদত্যাগী বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের ৮ জন, ধর্মনিরপেক্ষ জনতা দলের (জেডিএস) ৩ জন। তাঁরা পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল বাজুভাই বালার সঙ্গে দেখা করেন। পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে ২২৪ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় জোটের বিধায়ক সংখ্যা কমে হবে ১০৭। বিএসপির ১ জন এবং ২ জন স্বতন্ত্র সদস্য সরকারকে সমর্থন করছেন। তাঁরাও যদি ইস্তফা দেন তা হলে বিজেপির ১০৫ সদস্যের তুলনায় জোটের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০৪।

বিজেপিকে রুখে জোট বেঁধে সরকার গড়লেও শুরু থেকেই জোট শরিকদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। লোকসভায় কর্ণাটকে বিজেপির দুর্দান্ত সাফল্যের পর জোট সরকার ফেলে রাজ্যে ক্ষমতা দখলের জন্য বিজেপি উঠেপড়ে নামে। এই গণ ইস্তফা তারই ফল।

এই সংকট এমন সময়ে তৈরি যখন রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের সভাপতি পদ ছেড়ে দিয়েছেন, দল যখন ছন্নছাড়া এবং মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বিদেশে। বিদেশে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুন্ডুরাও। এই অবস্থায় রাজ্য কংগ্রেসের মুশকিল আসান ডি কে শিবকুমার আসরে নেমেছেন। তিনি বলেছেন, কেউ পদত্যাগ করবেন না। অসমর্থিত খবরে প্রকাশ, শিবকুমার নাকি কয়েকজনের পদত্যাগপত্র ছিঁড়ে দিয়েছেন। যদিও জেডিএস বিধায়ক এইচ বিশ্বনাথ বলেছেন, তাঁরা শুধু পদত্যাগই করেননি, রাজ্যপালকেও নিজেদের কথা জানিয়েছেন। বিশ্বনাথকে মাত্র কদিন আগে দলের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

বিজেপিতে এই মুহূর্তে দুই ধরনের ভাবনা। রাজ্যে দলের নেতা ইয়েদুরাপ্পা চান দল ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল করতে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করছে নতুন করে ভোট হলে দলের শক্তি অনেক বেশি বাড়বে। লোকসভা ভোটে রাজ্যে ২৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ২৬টি। কংগ্রেস ও জেডিএস পায় ১টি করে আসন।