কর্মীকে মারধর, সৌদি যুবরাজের বোনের বিচার শুরু

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি: এএফপি
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি: এএফপি

নিজের অ্যাপার্টমেন্টের এক কর্মীকে মারধর করার অভিযোগে সৌদি যুবরাজের বোন হাসা বিনতে সালমানের মঙ্গলবার ফ্রান্সের একটি আদালতে বিচার শুরু হয়েছে। তাঁর অনুপস্থিতিতেই এ বিচারকাজ শুরু হলো। হাসার প্যারিসের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে কাজ করতেন আশরাফ ইদ নামের ওই কর্মী।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসা বিনতে সালমান প্রভাবশালী সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বোন। সালমান সংক্ষেপে ‘এমবিএস’ নামে পরিচিতি। অভিযুক্ত হাসা বিনতে সালমানের নির্দেশে তাঁর দেহরক্ষী ওই কর্মীকে মারধর করেন। হাসার অভিযোগ, ওই কর্মী মোবাইলে তাঁর ছবি তুলেছেন। ছবি তুলে সেগুলো বিক্রির চেষ্টার মতলব এঁটেছিলেন।

ওই কর্মী বলেন, তাঁকে বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং রাজকুমারীর পায়ের পাতায় চুম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই কর্মীর বরাত দিয়ে ফ্রান্সের লা পয়েন্ট নামের এক ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজকুমারী চিৎকার দিয়ে বলেছিলেন, ‘ওকে মেরে ফেলো। এটা একটা কুকুর। ওর বাঁচার কোনো অধিকার নেই।’

অবশ্য রাজকন্যা তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ওই ঘটনার পর রাজকন্যা অবশ্য ফ্রান্স ত্যাগ করেন। আর তিনি যে আদালতে হাজির হবেন না, তা নিশ্চিতই ছিল।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজকন্যার আইনজীবী ইমানুয়ের মইন বলেন, মিথ্যা অভিযোগের ওপর মামলা হয়েছে। রাজকন্যা অত্যন্ত বিনয়ী, ভদ্র এবং সংস্কৃতিমনস্ক। সৌদি আইনে এবং রাজকন্যার নিরাপত্তার খাতিরেই তাঁর ছবি তোলাটা নিষিদ্ধ।

রাজকুমারীর পক্ষে আইনজীবী ইয়াসিন বিঝার বলেন, ‘আমরা আশা করি, বিচারকেরা মামলার বাদীর অসংখ্য দ্বন্দ্ব ও অসংগতি বিবেচনা করবেন। বাদীর মেডিকেল রিপোর্ট বিতর্কিত এবং তাতে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।’

ওই ঘটনায় রাজকন্যার দেহরক্ষী ওই কর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছেন। উল্লেখ্য, একই ঘটনায় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে রাজকুমারীর বিরুদ্ধে ফ্রান্স গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।