পাপুয়া নিউগিনিতে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ, নিহত ২৪

হত্যাকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিদের লাশ নীল পলিথিনে মুড়িয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
হত্যাকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিদের লাশ নীল পলিথিনে মুড়িয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনির পাহাড়ি এলাকায় নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

হেলা প্রদেশে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গোত্রের মধ্যে সহিংসতায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নারী–শিশুসহ নিহত মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপি অপরাধীদের প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেছেন। দিনটিকে তিনি ‘জীবনের অন্যতম বিষাদের দিন’ বলে মন্তব্য করেছেন।

পাপুয়া নিউগিনিতে বহু বছর পর ক্ষুদ্র জাতিসত্তার গোত্রের মধ্যে এমন চরম মাত্রার সহিংসতার ঘটনা ঘটল। হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে এ অঞ্চলে প্রায় ২০ বছর ধরে বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।

প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিস্তারিত খবর জানা না গেলেও হেলা প্রদেশের আঞ্চলিক প্রশাসক উইলিয়াম বান্ডো বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, এ পর্যন্ত ২৪ জন নিহত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই সংখ্যা বাড়তে পারে।

স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ইএমটিভি জানিয়েছে, তারি-পোরি এলাকার ছোট গ্রামগুলোতে আরও দুটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে গত রোববার মুনিমা গ্রামে সাতজন নিহত হয়েছে। পরদিন, অর্থাৎ সোমবারে কারিডা গ্রামে দুজন অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ১৬ জন নিহত হয়েছে। কারিডা গ্রামের সংঘর্ষের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

উইলিয়াম বান্ডো জানান, ক্ষুদ্র জাতিসত্তার গোত্রগুলোর এই হত্যাকাণ্ড থামাতে বাড়তি ১০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।