১৪ মুদ্রায় কাকাতুয়ার নাচ

গানের তালে নৃত্যরত স্নোবল
গানের তালে নৃত্যরত স্নোবল

গানের তালে তালে বিভিন্ন শৈলীতে নেচে আবারও অনলাইন দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে কাকাতুয়া ‘স্নোবল’। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা সালফার-ক্রেস্টেড কাকাতুয়া প্রজাতির এই পাখির ২৩ মিনিটের নতুন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, আশির দশকের দুটো জনপ্রিয় ইংরেজি গানের তালে তালে রীতিমতো ১৪টি ভিন্ন ভিন্ন মুদ্রায় নাচছে পাখিটি। 

স্নোবলের নতুন ভিডিওটির পেছনে রয়েছে বিজ্ঞানীদের এক দশকের গবেষণা। যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা গবেষণা সাময়িকী কারেন্ট বায়োলজিতে গত সোমবার প্রকাশিত হয় গবেষণা নিবন্ধটি। গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন ম্যাসাচুসেটসের মনোবিজ্ঞানী অনিরুদ্ধ প্যাটেল। সঙ্গে ছিলেন স্নোবলের মালিক ইরেনা শুলৎস।

স্নোবলের নাচ এই প্রথম খ্যাতি কুড়াল না, ২০০৮ সালে ইউটিউবে ছাড়া হয় তার নাচের প্রথম ভিডিও। সেটিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। আর এর মাধ্যমেই বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়ে ওঠে স্নোবল। পাখিটির বয়স তখন ১২ বছর। এরপরই বিজ্ঞানীরা স্নোবলকে নিয়ে কাজ শুরু করেন। গবেষণা চলতে থাকে, পাখিটি গানের তালের সঙ্গে মিল রেখে নাচতে শিখল কীভাবে? কাকাতুয়াসহ টিয়াপাখি গোত্রের সব পাখিই সাধারণত মানুষের কণ্ঠের অনুকরণে ওস্তাদ বলে এত দিন জানতেন বিজ্ঞানীরা। আর নাচলেও পরিচিত দু-একটি মুদ্রার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত তা। 

তবে স্নোবলের প্রেক্ষাপটটা ভিন্ন। তাকে নাচানোর জন্য পুরস্কারের প্রলোভনের দরকার পড়ে না। শুরুতে তিন-চারটি মুদ্রায় নাচতে পারলেও বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি গুনে দেখেন, স্নোবল নাচের সময় ১৪টি মুদ্রা প্রদর্শন করেছে। বিস্তর গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, এসব মুদ্রা অনুকরণ করেনি পাখিটি, সবই নিজে নিজে আবিষ্কার করেছে। অর্থাৎ স্নোবল স্বভাবজাতভাবেই ‘কোরিওগ্রাফার’।