ভারতের চন্দ্রযান-২-এর যাত্রা স্থগিত

যান্ত্রিক ত্রুটিতে শেষ মুহূর্তে স্থগিত করা হয় চন্দ্রযান–২–এর যাত্রা। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
যান্ত্রিক ত্রুটিতে শেষ মুহূর্তে স্থগিত করা হয় চন্দ্রযান–২–এর যাত্রা। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভারতের চন্দ্রযান–২–এর যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টা ৫১ মিনিটে চন্দ্রযান–২–এর যাত্রা শুরু করার কথা ছিল। এ উপলক্ষে কাউন্টডাউন শুরু হয়েছিল। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা বলছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কাউন্টডাউনের ৫৬ মিনিটের মাথায় যাত্রা স্থগিত হয়েছে।

শ্রীহরিকোটা মহাকাশ স্টেশন থেকে চন্দ্রযানের ভারতের পূর্ব উপকূলের দিকে যাওয়ার কথা ছিল। শিগগিরই যাত্রার নতুন তারিখ জানানো হবে, বলছে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা।

ভারতের আশা ছিল, চন্দ্রযান–২ প্রথমবারের মতো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। এ জন্য ভারত ১৫ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। চন্দ্রযান–২–এর লক্ষ্য ছিল চাঁদে পানি, খনিজ পদার্থের খোঁজ করা। যাত্রা সফল হলে ভারত হতো চতুর্থ দেশ, যাদের যান চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করত। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের যান চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছে।

১৫ কোটি ডলার ব্যয় হয় চন্দ্রযান–২–এর জন্য। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
১৫ কোটি ডলার ব্যয় হয় চন্দ্রযান–২–এর জন্য। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) প্রধান কে শিবন বলেন, মহাকাশ সংস্থা এর আগে এত জটিল অভিযান চালায়নি। যাত্রা সফল হলে এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে চন্দ্রযানের চাঁদের দক্ষিণে পৌঁছানোর কথা ছিল। ২০০৮ সালে ভারত প্রথম মহাকাশযান চন্দ্রযান–১ উৎক্ষেপণ করে। তবে এটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেনি। চন্দ্রযান–১ রাডার ব্যবহার করে চাঁদে পানির খোঁজ চালায়।

চন্দ্রযান–২ অভিযানে ভারত খুবই শক্তিশালী রকেট ব্যবহার করেছে। এই রকেটের ওজন ৬৪০ টন। উচ্চতা ১৪৪ ফুট। এটি ১৪ তলা ভবনের সমান উঁচু। মহাকাশযানটির ওজন ২ হাজার ৩৭৯ কেজি। অরবিটার, ল্যান্ডার ও রোভার নামে এর তিনটি আলাদা অংশ আছে। অরবিটারের কাজ ছিল চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি নেওয়া। বিক্রম নামে ল্যান্ডারের কাজ চাঁদে মাটির খোঁজ করা। আর প্রজ্ঞান নামে রোভারের কাজ পৃথিবীতে বিশ্লেষণের জন্য চাঁদের ছবি ও তথ্য পাঠানো।