মিয়ানমারের কাছে ভারতের টর্পেডো হস্তান্তর

ভারতের তৈরি টর্পেডো । ছবি: ভারত ডায়নামিকস লিমিটেডের (বিডিএল) সৌজন্যে
ভারতের তৈরি টর্পেডো । ছবি: ভারত ডায়নামিকস লিমিটেডের (বিডিএল) সৌজন্যে

মিয়ানমারের কাছে ভারত অত্যাধুনিক হালকা প্রযুক্তির টর্পেডো (টিএএল)হস্তান্তর করেছে। গত শুক্রবার মিয়ানমারের কাছে র্টপেডোগুলো হস্তান্তর করেছে ভারত। ভারতের সামরিক ও প্রতিরক্ষা ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার এ সংবাদ প্রকাশ করে দ্য ইরাবতী।

মিয়ানমার থেকে থাইল্যান্ডে নির্বাসিত ব্যক্তিরা নব্বইয়ের দশকে ইংরেজি ও বার্মিজ ভাষায় ইরাবতী নামের এই সংবাদ পোর্টাল গড়ে তোলেন।

প্রকাশিত খবরে জানানো হয়, টর্পেডোগুলো ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান ভারত ডায়নামিকস লিমিটেড (বিডিএল) তৈরি করেছে। ২০১৭ সালে দুই দেশের মধ্যে ৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের চুক্তির আওতায় ওই টর্পেডোগুলো মিয়ানমারকে সরবরাহ করেছে ভারত। তবে কত টর্পেডো বিক্রি করা হয়েছে বা মিয়ানমার নৌবাহিনীর কোন বহরে টর্পেডোগুলো স্থাপন করা হবে তা, উল্লেখ করা হয়নি।

এই প্রযুক্তির টর্পেডোগুলো ভারতের নৌবাহিনীর ২৫ ইউনিটে রয়েছে। এগুলোর ওজন ২২০ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ২৭৫০ মিলিমিটার ও ব্যাস ৩২৪ মিলিমিটার। এগুলোতে উচ্চমাত্রার ৫০ কেজি পরিমাণ বিস্ফোরক ভর্তি থাকে এবং এগুলোর কার্যকরী দূরত্ব সাত কিলোমিটার ও সর্বোচ্চ গভীরতা ৫৪০ মিটার পর্যন্ত।

এর আগে এপ্রিলে মিয়ানমারের কমান্ডার-ইন-চিফ জ্যেষ্ঠ জেনারেল মিন অং হ্লেইং সাবমেরিন নির্মাণ পরিদর্শনে রাশিয়া সফর করেন। ওই সময় তিনি রাশিয়ার সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ফাইটার জেটও দেখেন। ২০১৮ সালে রাশিয়া ও মিয়ানমারের মধ্যে ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

জেনারেল মিনের সফরের কয়েক সপ্তাহ পর মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, জেনারেল মিন দেশটির জলসীমার নিরাপত্তা রক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তির সাবমেরিন কেনার ব্যাপারে আলোচনা করতে রাশিয়া গিয়েছিলেন।

তবে মে মাসে সিঙ্গাপুরে চঙ্গি নৌঘাঁটিতে ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক সমুদ্রতীরবর্তী নিরাপত্তা সম্মেলনে সাবমেরিনবিরোধী মহড়ার সময় মিয়ানমারকে অজানা টর্পেডোসহ এফ-১৪ এবং এফ-১২ ফ্রিগেট প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।

ভারতের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, টর্পেডো সরবরাহের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সুদৃঢ় বন্ধন থাকার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। এর আগে ভারত মিয়ানমারকে অ্যাকুস্টিক ড্রোন, নেভাল সোনার এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে। দুই দেশ নিজেদের সীমান্তে বিদ্রোহ দমনে অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করতেও সম্মত হয়েছে।