নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭

গত বৃহস্পতিবার থেকে হওয়া ভারী বর্ষণে নেপালের বেশ কয়েকটি জেলা তলিয়ে গেছে। রয়টার্স ফাইল ছবি
গত বৃহস্পতিবার থেকে হওয়া ভারী বর্ষণে নেপালের বেশ কয়েকটি জেলা তলিয়ে গেছে। রয়টার্স ফাইল ছবি

নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭-তে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জন নিখোঁজ ও ৪০ জন আহত হয়েছে। নেপালের পুলিশ গতকাল সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

নেপাল পুলিশের বরাত দিয়ে সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত লোকজনের মধ্যে ৪১ জন পুরুষ ও ২৬ জন নারী। পুলিশের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন জেলার অন্তত ১ হাজার ৪৪৫ জন মানুষকে সফলভাবে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক এ দুর্যোগের কারণে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে তেরাই অঞ্চলের মতো নিচু এলাকার মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নেপালের ৭৭টি জেলার মধ্যে ২০টিরও বেশি জেলা বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে উদ্ধারকাজে নেপালের সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সশস্ত্র পুলিশ একযোগে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ কর্মসূচি চালানোর ঘোষণা দিয়েছে নেপালের প্রাদেশিক সরকারগুলো। নিহত লোকজনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। আহতদের জন্য বিনা খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে প্রাদেশিক সরকারগুলো। সরকারের সঙ্গে মিলে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও কাপড়, খাদ্যসামগ্রী বিতরণে শামিল হয়েছে।

দেশটির জরুরি স্বাস্থ্য পরিচালন কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্গম এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসম্পন্ন মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। মহামারি ও রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ঘনশ্যাম পোখারেল জানিয়েছেন, ডায়রিয়া, আমাশয়, ডেঙ্গু, টাইফয়েডের মতো বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।

নেপালের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রধান নদীগুলোতে পানি ধীরে ধীরে কমছে। তবে আগামী কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে তারা।

এর আগে গত রোববার স্থানীয় গণমাধ্যম ‘হিমালয়ান টাইমস’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে ১৮ জন নারীসহ কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে নেপালে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টিতে নেপালের দক্ষিণাঞ্চলসহ পাহাড়ি অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে দেশব্যাপী প্রায় ২৮ হাজার পুলিশ সদস্যকে নিয়োজিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিল নেপালের পুলিশ।

আরও পড়ুন: