মুম্বাই হামলার মূল হোতা হাফিজ সাঈদ গ্রেপ্তার

মুম্বাই হামলার মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত হাফিজ সাঈদকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
মুম্বাই হামলার মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত হাফিজ সাঈদকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তান। ফাইল ছবি: রয়টার্স

২০০৮ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত হাফিজ সাঈদকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলায় অর্থের জোগান দেওয়ার দায়ে আজ বুধবার তাঁকে লাহোরের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাফিজ সাঈদকে বিচারিক হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। সন্ত্রাস দমন আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য গুজরানওয়ালা থেকে লাহোর যাওয়ার পথে হাফিজ সাঈদকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) ।

হাফিজ সাঈদকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেছেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ—তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থের জোগান দিয়েছেন। এটি আইনত অপরাধ।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওয়াশিংটন সফরের কয়েক দিন আগে হাফিজ সাঈদকে গ্রেপ্তার করল পাকিস্তান। মুম্বাই হামলার সঙ্গে হাফিজ সাঈদ জড়িত, এটি প্রমাণ করে তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারলে পাকিস্তানকে ১ কোটি মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার প্রতিষ্ঠাতা ও আমেরিকা কর্তৃক চিহ্নিত সন্ত্রাসী হাফিজ সাঈদকে মুম্বাই হামলার প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে মনে করা হয়। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর চালানো ওই সন্ত্রাসী হামলায় ১৬৬ জন নিহত হয়েছিলেন। সে সময় ১০ জন পাকিস্তানি সন্ত্রাসী মুম্বাই শহরকে চার দিনের জন্য অকেজো বানিয়ে রেখেছিলেন। ভারতের দাবি, এ ঘটনায় হাফিজ সাঈদের জড়িত থাকার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এত বছর ধরে পাকিস্তানে নিরাপদে চলাফেরা করতে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।

ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়ে চলতি মাসের শুরুর দিকে হাফিজ সাঈদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ দাখিল করে পাকিস্তান। শুধু মুম্বাই হামলায় নয়, আরও বেশ কিছু সন্ত্রাসী হামলায় অর্থায়ন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর আগে ২০১৭ সালে চার সঙ্গীসহ হাফিজ সাঈদকে আটক করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু পাঞ্জাবের বিচারিক পর্যালোচনা বোর্ড তাঁদের আটক থাকার সময়সীমা বাড়াতে অস্বীকার করায় প্রায় ১১ মাস পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।