এবার তেল ট্যাংকার আটকের কথা জানাল ইরান

হরমুজ প্রণালিতে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের টহল। ছবি: এএফপি
হরমুজ প্রণালিতে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের টহল। ছবি: এএফপি

এবার বিদেশি তেল ট্যাংকার আটকের কথা জানাল ইরান। গত রোববার হরমুজ প্রণালি থেকে ১২ জন ক্রুসহ ওই ট্যাংকারে আটক করা হয় বলে বৃহস্পতিবার ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) ওয়েবসাইটে বলা হয়। ১০ লাখ লিটার তেল ওই ট্যাংকারে করে পাচার করা হচ্ছিল বলে দাবি তেহরানের।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তবে ট্যাংকারটি কোনো দেশের তা প্রকাশ করেনি আইআরজিসি। দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেলবাহী ট্যাংকার ও ত্রু আটকের বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।

গত রোববার (১৪ জুলাই) হরমুজ প্রণালি থেকে সংযুক্ত আরব আমিতের ‘এমটি রিয়াহ’ নামের একটি তেলবাহী ট্যাংকার ট্র্যাকিং ম্যাপ থেকে গায়েব হয়ে যায়। এর ট্রান্সপডার বন্ধ হয়ে গেলে জাহাজটির আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তেলবাহী ও ট্যাংকারটি ইরান জব্দ করেছে, নাকি তা যান্ত্রিক ত্রুটির পর উদ্ধার করা করেছে, তা নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা দোলাচলে ছিল।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ইরানের প্রকাশ করা আটক জাহাজটি ওই এমটি রিয়াহ কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার আইআরজিসি হরমুজ প্রণালি থেকে ওই ট্যাংকারটি আটক করে। ২০ লাখ লিটার তেল ধারণা ক্ষমতাসম্পন্ন ট্যাংকারটিতে ১০ লাখ লিটার তেল ছিল।

বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ তেল হরমুজ প্রণালি হয়ে সারা বিশ্বে সরবরাহ হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে এ প্রণালি দিয়ে মুক্তভাবে নৌযান চলাচলের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। হরমুজ প্রণালি দিয়ে তেলবাহী জাহাজ যাতায়াতে স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছে। বিদেশি কূটনীতিকদের সামনে শুক্রবার (১৯ জুলাই) হরমুজ প্রণালি সংক্রান্ত তাদের নতুন উদ্যোগের কথা জানাবে।

এদিকে ইরানের সঙ্গে তেলবাহী জাহাজ আটক নিয়ে যুক্তরাজ্যের উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত ৪ জুলাই জিব্রালটার প্রণালি থেকে ইরানের একটি অপরিশোধিত তেলবাহী জাহাজ আটক করে ব্রিটিশ সরকার। এরপর ইরান পাল্টা ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করে। ব্রিটিশ সরকারের অভিযোগ ইরান ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এসব তেল সিরিয়ায় পাঠাচ্ছিল। তবে তেহরানের দাবি যুক্তরাজ্য যা করেছে তা আইনের পরিপূর্ণ লঙ্ঘন।