ট্রাম্পের প্রতি 'সহানুভূতিশীল' ছিলেন পুতিন

জুন মাসের ২৮ তারিখে পশ্চিম জাপানের ওসাকা শহরে জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স
জুন মাসের ২৮ তারিখে পশ্চিম জাপানের ওসাকা শহরে জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স

২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি ‘সহানুভূতিশীল’ ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের ইচ্ছা ব্যক্ত করায় ট্রাম্পের প্রতি সহানুভূতি ছিল তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে এ কথা নিজেই বলেছেন পুতিন। গতকাল শুক্রবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা অলিভার স্টোনকে ১৯ জুন এক সাক্ষাৎকার দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। গতকাল শুক্রবার ক্রেমলিন ওয়েবসাইটে তা প্রকাশিত হয়। পুতিন বলেছেন, কোনো কথিত রুশ হ্যাকার ভোটের ফলাফলকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে না।

রুশ প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এর আগে তিনি মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না।

মার্কিন গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনুসন্ধানে মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের দীর্ঘায়িত সম্পর্কের কথা উঠে এসেছে। ক্রেমলিন অবশ্য তা অস্বীকার করেছে। অনুসন্ধান অনুযায়ী, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করেছে রাশিয়া। সে সময় বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে ও অন্যান্য কৌশল ব্যবহার করে রাশিয়া ট্রাম্পের প্রচারণায় সমর্থন জুগিয়েছে। পুতিন এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।

পুতিন বলেন, ‘আমি জানি না ইন্টারনেটে কারা কাজ করে। তবে আমাদের ব্লগাররা মার্কিন পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়েছেন কেবল, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসার মতো কোনো ভূমিকা তাঁদের ছিল না। যত সব অপদার্থের মতো কথা। তবে ট্রাম্পের প্রতি আমাদের সহানুভূতি ছিল। কারণ, রাশিয়ার সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চান বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এতে খারাপটা কী হয়েছে? এ ধরনের অবস্থানকে তো আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে পারি না।’