৫ রুপিতে তৈরি ভেজাল দুধ বিক্রি হয় ৫০ রুপি!

ভারতে ভেজাল দুধ বিক্রির দায়ে ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
ভারতে ভেজাল দুধ বিক্রির দায়ে ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

এক লিটার দুধে প্রাকৃতিক দুধের পরিমাণ ৩০ শতাংশ। বাকিটা তেল, তরল ডিটারজেন্ট, সাদা রং ও গ্লুকোজ। ভেজাল এই দুধ সরবরাহ করা হতো ভারতের ছয়টি রাজ্যের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে। ভেজাল দুধ সরবরাহ করার দায়ে গতকাল শুক্রবার ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘উচ্চ মাত্রার বিষাক্ত ও ভেজাল দুধ’ বিক্রির দায়ে ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়র-চাম্বাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। মূলত আম্বা, মোরেনা ও ভিন্দ জেলার তিনটি কারখানায় এই ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ভেজাল এই দুধ তৈরিতে প্রতি লিটারে খরচ হতো মাত্র ৫ রুপি। কিন্তু বিক্রির সময় এই দুধের লিটার প্রতি মূল্য রাখা হতো ৪৫ থেকে ৫০ রুপি। ভেজাল পনির বিক্রি হতো কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ লিটার ভেজাল দুধ উৎপাদিত হতো কারখানাগুলোতে, এমনটাও জানিয়েছেন টাস্ক ফোর্সের এক কর্মকর্তা।

ভেজাল এই দুধ মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র- এই ছয়টি প্রদেশের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডের দোকানে সরবরাহ করা হতো। টাস্ক ফোর্সের সদস্য রাজেশ ভাদোরিয়া জানিয়েছেন, তিনটি কারখানা থেকে প্রায় ১০ হাজার লিটার ভেজাল দুধ জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫০০ কেজির বেশি ভেজাল খোয়া এবং ২০০ কেজির বেশি ভেজাল পনির জব্দ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রাজেশ ভাদোরিয়া আরও বলেন, ‘২০টি ট্যাংকার ও ১১টি পিক-আপ ভর্তি ভেজাল দুধ ও অন্যান্য পণ্য বাজেয়াপ্ত করেছি আমরা। বিপুল পরিমাণ তরল ডিটারজেন্ট, পরিশোধিত তেল এবং গ্লুকোজও জব্দ করা হয়েছে।’

অভিযান চালানো টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা জানিয়েছেন, কয়েকজন খাদ্য পরিদর্শকও এই ভেজাল দুধ তৈরি ও সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দ্রুত তাঁদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানিয়েছে টাস্ক ফোর্স।